১১ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ মুক্ত দিবস
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৪:১৭
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে:
১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ হানাদারমুক্ত হয়েছিল। এই দিনে ৭নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর নাজমুল হক ও সহঅধিনায়ক বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি ক্যাম্পের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের বিতাড়িত করেন।
১৯৭১ সালের ১ মার্চ ৭নং সেক্টরের অধিনায়ক মেজর নাজমুল হক দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের মালদাহ জেলার মহদিপুর থেকে নারায়ণপুর যাওয়ার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। তাকে ছোট সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়।
তার মৃত্যুর পরে ১০ ডিসেম্বর ভোর থেকে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু হয়। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে শাহবাজপুর ইউপির আজমতপুর গ্রামের আবুল খায়ের বিশ্বাসের ক্যাম্প হতে বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহজাহান মিঞার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার একটি দল এ জোরালো অভিযান শুরু করে। কানসাটের কলাবাড়ি এলাকায় শত্রুপক্ষের সঙ্গে ব্যাপক গুলিবিনিময়ের পর শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা।
বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পাকবাহিনী বিনোদপুর ও মনাকষা এলাকার বেশ কিছু নিরীহ গ্রামবাসীকে ঘরে আটকে রেখে আগুনে পুড়িয়ে মারে। এর আগে ৯ ডিসেম্বর বিনোদপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ জন শিক্ষিত ব্যক্তিকে লাইনে দাঁড়িয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে।
এই খবর পেয়ে একই ইউনিটের আজমতপুর গ্রামের আবুল খায়ের বিশ্বাসের ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধা আমানুল্লাহ বিশ্বাসের নেতৃত্বে অপর একটি মুক্তিযোদ্ধার দল বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। এ ছাড়া মনাকষা এলাকায় বীরশ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন আহমেদ মন্টু ডাক্তারের দলের সঙ্গে মিলিত হয়ে শিবগঞ্জ অভিমুখে যাত্রা করেন।
অন্যদিকে চককীর্তি, ধাইনগরসহ আরও কয়েকটি এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের দলগুলো শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে মিলিত হয়। সম্মিলিতভাবে মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন এবং পাকবাহিনীকে শিবগঞ্জ থেকে সরিয়ে দিয়ে শিবগঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করেন।
এনএফ৭১/জেএস/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।