সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন মাওলানা লুৎফর রহমান

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৯

ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন মাওলানা লুৎফুর রহমান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৩ মার্চ) বেলা ৩ টায় না ফেরার দেশে চলে যান জনপ্রিয় এ ইসলামি বক্তা।

ব্রেনস্ট্রোক করে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরআগে ১৪ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যথা অনুভব করেন লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিক তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

একনজরে মাওলানা লুৎফর রহমান:

মাওলানা লুৎফুর রহমান লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত মাওলানা আব্দুস সামাদের ছেলে। একজন স্বনামধন্য বক্তা হিসাবে দেশে ও বিদেশে তার অনেক পরিচিতি রয়েছে।

আল্লামা লুৎফর রহমান কর্মজীবনে রাজখালি আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন অগ্রগতিতে নিজেকে উৎসর্গ করেন।

লুৎফুর রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, লেখক, সম্পাদক ও ইসলামি বক্তা। তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির শিষ্য ছিলেন। অরাজনৈতিক ইসলামি সংঘটন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও জামিয়া লুৎফিয়া আনওয়ারুল উলুম হামিদনগর বরুণা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা।

গবেষক লুৎফর রহমান ওয়াজ মাহফিলে প্রয়োজনীয় বয়ান ছাড়াও সমসামায়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুসলমানদের সচেতন করেন। তিনি ৫ কন্যা ও ২ পুত্রের জনক। বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরেন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন লুৎফর রহমান।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top