সৎ ও চরিত্রবান ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে। চরিত্রবান হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দৃষ্টি সংযত রাখা ও লজ্জাস্থানের হেফাজত করা। কারণ দৃষ্টিই হলো লালসার প্রথম ধাপ, আর লালসার শেষ পরিণতি হলো ব্যভিচার। এজন্য কোরআনে স্পষ্টভাবে মুমিন পুরুষদের প্রতি নির্দেশ এসেছে—
قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ ؕ ذٰلِكَ اَزۡكٰی لَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ
মুমিন পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। তারা যা করে, নিশ্চয় আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত।
(সুরা নুর, আয়াত ৩০)
লজ্জাস্থান হেফাজতের অর্থ
-
ব্যভিচার, পুংমৈথুন, হস্তমৈথুনসহ সকল অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকা।
-
দৃষ্টি, স্পর্শ, অশ্লীল কথা বা শোনা—এসব থেকেও বিরত থাকা।
-
সতর ঢেকে রাখা। পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত, যা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও সামনে প্রকাশ করা হারাম।
হাদিসে দিকনির্দেশনা
১. রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
“নিজের স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া বাকি সবার থেকে সতরের হেফাজত করো।”
একজন সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, একা থাকলে?
তিনি ﷺ বললেন—“আল্লাহ থেকে লজ্জা করো, তিনিই এর হকদার।”
(আবু দাউদ, হাদিস ৪০১৭)
২. তিনি ﷺ আরও বলেছেন—
“তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বেঁচে থাক।”
সাহাবারা বললেন, আমরা তো রাস্তার পাশে বসে গল্প করি।
তিনি ﷺ বললেন—“যদি বসতেই হয়, তবে পথের হক আদায় করবে।”
সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, পথের হক কী?
তিনি ﷺ বললেন—
সারকথা
চরিত্রবান পুরুষ সেই ব্যক্তি—
এই গুণাবলিই তাকে আল্লাহর কাছে প্রিয় ও মানুষের কাছে সম্মানিত করে তোলে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।