যে কাজ করলে আপনার রিজিকের বরকত কমে যাবে
ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৩২
রিজিক বা জীবিকার সংস্থান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নেয়ামত। হালাল রিজিক শুধু জীবনের প্রয়োজন মেটায় না, বরং ইবাদত কবুল হওয়ারও অন্যতম শর্ত। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, আয়-রোজগারে আগের মতো বরকত থাকে না— যেন রিজিক কমে যেতে শুরু করে।
ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, রিজিক কমে যাওয়ার পেছনে কিছু কারণ রয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে কোরআন ও হাদিসে সতর্ক করা হয়েছে।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“তোমার রব যাকে ইচ্ছা রিজিক দেন প্রশস্তভাবে, আবার যাকে ইচ্ছা দেন সীমিত করে। কিন্তু অনেক মানুষই এটা বুঝে না।”
(সুরা সাবা : ৩৬)
রিজিক কমে যাওয়ার প্রধান কয়েকটি কারণ
হারাম উপার্জন:
আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন— “হে মানবজাতি, তোমরা পৃথিবী থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো।” (সুরা বাকারা : ১৬৮)
হারাম উপার্জনে রিজিকের বরকত কমে যায়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি হালাল উপায়ে সম্পদ অর্জন করে, তাকে বরকত দান করা হয়।” (মুসলিম : ১০৫২)
সুদের কারবার:
সুদের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যবসার বরকত নষ্ট করে। আল্লাহ বলেন, “আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করে দেন এবং সাদাকাকে বর্ধিত করেন।” (সুরা বাকারা : ২৭৬)
প্রতারণা ও মিথ্যা কসম:
রাসুল (সা.) বলেন, “বেচাকেনার সময় বেশি কসম করা থেকে সাবধান থেকো। কারণ, এতে বিক্রি বাড়ে ঠিকই, কিন্তু বরকত ধ্বংস হয়ে যায়।” (মুসলিম : ১৬০৭)
অকৃতজ্ঞতা:
আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, আমি অবশ্যই তোমাদের আরও বেশি দান করব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও, তবে আমার শাস্তি কঠোর।” (সুরা ইবরাহিম : ৭)
ইসলামি ফকিহদের মতে, এ কারণগুলোর পাশাপাশি আরও অনেক আচরণ রয়েছে, যা মানুষের রিজিক ও বরকতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এজন্য প্রত্যেক মুমিনের উচিত হালাল উপার্জনে দৃঢ় থাকা এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
নিফ্লা৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।