মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২

তীব্র কষ্টে মৃত্যু কামনা করা জায়েজ না

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:০৫

সংগৃহীত

মৃত্যু মানবজীবনের এক অনিবার্য সত্য। জন্মলাভের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর দিন নির্ধারিত থাকে। জীবনের শেষ দিন আসে নির্দিষ্ট সময়ে, যখন কেউ তা ত্বরান্বিত বা বিলম্বিত করতে পারে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন:

সুরা আলে ইমরান : ১৮৫ এবং সুরা আনকাবুত : ৫৭: “প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল কিয়ামতের দিনে পাবে।”

সুরা নাহলে : ৬১: “নির্ধারিত সময়ে যখন মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহূর্তও বিলম্বিত বা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।”

এই প্রসঙ্গে প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, তীব্র কষ্টের সময়েও নিজের মৃত্যু কামনা করা যায়েজ নয়। হাদিসে কঠোরভাবে এ বিষয়ে নিষেধ রয়েছে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন:

“তোমাদের কেউ কোনো বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা করবে না। যদি এমন পরিস্থিতি আসে, তবে সে বলুক, ‘হে আল্লাহ! যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয় ততদিন আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার জন্য মৃত্যু মঙ্গলজনক হবে তখন আমার মৃত্যু দিন।” (বোখারি : ৫৯১১)

অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা উচিত নয়, কারণ বেঁচে থাকলে সৎকর্ম করা সম্ভব, অথবা পাপ করলে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করার সুযোগ থাকে। (বোখারি : ৬৭৪১)

দুঃসময়ের ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন:

“প্রকৃত ধৈর্য ধারণ হলো বিপদের প্রথম মুহূর্তে।” (সহিহ মুসলিম : ২০১১)

ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আল্লাহ তায়ালা রয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:

“হে মুমিনগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।” (সুরা বাকারা : ১৫৩)

অতএব, তীব্র কষ্টের সময়েও ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসা রাখা সঠিক পথ। মৃত্যু কামনা না করে, জীবনে ধৈর্য ধারণ ও প্রার্থনার মাধ্যমে মোকাবিলা করা ইসলামের নির্দেশ।

 

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top