যে দুই শ্রেণির মানুষের কর্ম দেখে আল্লাহ তায়ালা খুশিতে হাসেন

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০৩

সংগৃহীত

মানুষের সব ইবাদত, ত্যাগ ও চেষ্টা আল্লাহ তায়ালার অগোচরে নয়। তবে মানুষের কিছু আমল এমন নির্মল ও বিশুদ্ধ হয়, যা আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদা পায়। হাদিসে বর্ণিত আছে—বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহ তায়ালা দুই শ্রেণির মানুষের কর্ম দেখে খুশিতে হাসেন এবং তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ ঘোষণা করেন।

এ প্রসঙ্গে নিউজ ফ্লাশ ৭১ এর পাঠকদের জন্য ব্যাখ্যা দেন সিলেটের জামিয়া দারুল উলুম কানাইঘাটের নায়েবে শায়খুল হাদিস মাওলানা শামছুদ্দীন দুর্লভপুরি।

তিনি জানান, মু’জামে তবরানির একটি হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন—রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা দুই ব্যক্তিকে দেখে হাসেন:

১. শীতের রাতে কঠিন ঠান্ডা সহ্য করে যিনি ওজু করে নামাজে দাঁড়ান

রাতের গভীরে আরামের বিছানা ছেড়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ওজু করে ইবাদতে দাঁড়ানো বান্দাকে আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে পছন্দ করেন। ফেরেশতাদের উদ্দেশে তিনি জিজ্ঞেস করেন—বান্দাটি কীসের আশায় এই কষ্ট করল? ফেরেশতারা জানান—জান্নাতের আশা ও জাহান্নামের ভয়ে। তখন আল্লাহ ঘোষণা করেন,

“সে আমার কাছে যা চেয়েছে, তা তাকে দিলাম; এবং যেটা থেকে বাঁচতে চেয়েছে, সেখান থেকে তাকে রক্ষা করলাম।”

মুহাদ্দিসদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন—এতে ফজর নামাজ বোঝানো হয়েছে; তবে বেশিরভাগের মতে এর অর্থ তাহাজ্জুদ।

২. আল্লাহর রাহে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জিহাদে অংশ নেওয়া ব্যক্তি

যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় এবং তার ভয়ভীতির কারণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে জিহাদের ময়দানে যায়—তার অবস্থাও আল্লাহ তায়ালাকে সন্তুষ্ট করে। তার বিষয়েও আল্লাহ ফেরেশতাদের সঙ্গে প্রথম ব্যক্তির মতোই কথা বলেন।

আল্লাহ হাসেন মানে কী?

ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন—মুসনাদে আহমদের বর্ণনা অনুযায়ী, দুনিয়ায় কারো আচরণে যদি আল্লাহ তায়ালা হাসেন, তবে আখিরাতে সেই ব্যক্তির হিসাব নেওয়া হবে না। অর্থাৎ তিনি বিনা হিসেবে জান্নাতের যোগ্য হন।

তবে আল্লাহর হাসি মানুষের হাসির মতো নয়। তাঁর গুণাবলিতে কোনো সৃষ্টির সাদৃশ্য নেই—যেমনটি কোরআনে বলা হয়েছে,

“কোনো কিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়।” (সুরা শূরা: ১১)

মোল্লা আলি কারি (রহ.) ব্যাখ্যা করেন—আল্লাহর ‘হাসি’ বলতে তাঁর সন্তুষ্টি ও অনুগ্রহ বোঝানো হয়। (মিরকাতুল মাফাতিহ)

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top