শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

কেয়ামত কি শুক্রবারেই সংঘটিত হবে, যা বলা হয়েছে হাদিসে

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ২০:০৪

সংগৃহীত

আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিনকে বিভিন্ন নামে নামকরণ করেছেন, যেন মানুষ তা স্মরণে রেখে উপদেশ গ্রহণ করে এবং এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করে। কোরআন ও হাদিসে এ দিনকে উল্লেখ করা হয়েছে বিচার দিবস, ফায়সালার দিন, হিসাবের দিন, পরিতাপের দিন, মহাসমাবেশের দিন এবং পুনরুত্থান দিবস ইত্যাদি নামে।

মহাগ্রন্থ আল কোরআনে কিয়ামতের দিনকে ভয়াবহ ও বিভীষিকাময় বলা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে, “সেদিন মানুষ বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো হবে।” (সুরা কারিয়াহ : ৪) এবং অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “যেদিন কিয়ামত উপস্থিত হবে, মানুষ তার পরিবার থেকে পলায়ন করবে; প্রত্যেকের অবস্থা হবে গুরুতর, যা তাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যস্ত রাখবে।” (সুরা আবাসা : ৩৩-৩৭)

রাব্বুল আলামিন আরও ইরশাদ করেছেন, “হে মানুষ, তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় করো। কিয়ামতের প্রকম্পন এক ভয়ংকর ব্যাপার। সেই দিন প্রত্যেক স্তন্যধাত্রী তার শিশুর কথা ভুলে যাবে, প্রত্যেক অন্তঃসত্ত্বা নারী গর্ভপাত করবে, আর মানুষ মাতালদের মতো হবে, অথচ তারা নেশাগ্রস্ত নয়।” (সুরা হজ : ১-২)

বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের মনে প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে—কখন কিয়ামত সংঘটিত হবে? কোন দিনে কিয়ামত হবে? এ বিষয়ে মহাগ্রন্থ আল কোরআনে বলা হয়েছে, কেয়ামতের সময় কেবল আল্লাহর নিকটই পরিচিত। রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, “তারা তোমাকে কেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলো, ‘এ বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে আমার প্রতিপালকের নিকট। তিনি ছাড়া কেউ প্রকাশ করতে পারে না কখন তা ঘটবে।’” (সুরা আরাফ : ১৮৭)

কিয়ামতের নির্দিষ্ট দিনের বিষয়ে রাসুল (সা.) জানান, এটি জুমার দিনে সংঘটিত হবে। হাদিসে বর্ণিত আছে, “সূর্য উদিত হওয়া দিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আল্লাহ আদম (আ.) সৃষ্টি করেছেন, তাকে দুনিয়ায় নামানো হয়েছে এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এই দিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী নেই, যারা জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত কিয়ামতের ভয়ে চিৎকার করতে থাকে না। যদি কোনো মুসলিম নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, আল্লাহ অবশ্যই তা কবুল করবেন।” (আবু দাউদ : ১০৪৬)

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top