সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

বাসে চলন্ত অবস্থায় নামাজ আদায়ের ইসলামী নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৩২

সংগৃহীত

ইসলামে নামাজ আদায়কে সর্বোচ্চ ইবাদতের মধ্যে গণনা করা হয়। ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় মানুষ বাস, ট্রেন বা অন্যান্য চলন্ত বাহনে যাত্রা করেন। এই পরিস্থিতিতেও ইসলামের বিধান অনুযায়ী বান্দা তার রবের সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারে।

ইসলামী গবেষণা পত্রিকা মাসিক আল কাউসার জানিয়েছে, চলন্ত জাহাজ, বিমান বা ট্রেনে যদি দাঁড়িয়ে রুকু-সেজদাসহ নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়, তবে কিবলার দিকে মুখ করে দ্রুত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। চলন্ত অবস্থায় নামাজের মধ্যে বাহন ঘুরলেও নামাজিও কিবলার দিকে ঘুরে নামাজ শেষ করবেন। এই নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়লে পরে কাজা করতে হয় না।

যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া সম্ভব না হয়, তবে বসে বা যে ভঙ্গি সম্ভব, সেভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে এই অবস্থায় পরে নামাজ কাজা করা প্রয়োজন।

 

বাসযাত্রায় নামাজের নির্দেশনা:

স্বল্প দূরত্বে যেমন মিরপুর-যাত্রাবাড়ী বা সাভার-ঢাকা, বাসে নামাজ পড়া সম্ভব না হলে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে বাস থেকে নামাজ আদায় করা উচিত।

দূরপাল্লার বাস যাত্রায় যেখানে নামাজের সময় পূর্ণ করতে পারা কঠিন, সেখানে দুই সিটের মাঝে দাঁড়িয়ে কিবলার মুখে রুকু-সেজদাসহ নামাজ আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে কিছুতে হেলান দিয়ে বা হাতে ধরেও দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া যাবে।

যদি পুরো রুকু বা সেজদা সম্ভব না হয়, তবে সামনের বা পেছনের সিটে বসে সেজদা আদায় করা যাবে। আর কোনো উপায় না থাকলে নিজের সিটে বসে কিবলার দিকে মুখ করে নামাজ শেষ করতে হবে।

যে অবস্থায় দাঁড়ানো বা কিবলার দিকে নামাজ পড়া সম্ভব নয়, সেই নামাজ পরে কাজা করতে হবে।

ইসলাম যাত্রীদের জন্য সহজতা রেখেছে, যাতে ব্যস্ত জীবনের মধ্যে ও চলন্ত অবস্থায় বান্দারা তার ইবাদত পূর্ণ করতে পারে।

 

এনএফ৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top