শুক্রবারে মৃত্যু: কবরের আজাব মাফ হয় কি?
ধর্ম সংবাদ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:১০
শুক্রবার মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ দিন। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, এই দিন আল্লাহ তায়ালা বিশেষ মর্যাদা দেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতরা তাদের ফজিলতপূর্ণ দিন পেয়েছিল—ইহুদিদের শনিবার, খ্রিষ্টানদের রোববার। মুসলমানদের জন্য আল্লাহ শুক্রবারকে ফজিলতপূর্ণ করেছেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে ফরজ গোসলের মতো গোসল করে এবং প্রথম প্রহরে মসজিদে যায়, তার জন্য কোরবানির মতো সওয়াব রয়েছে। খুতবা চলাকালীন ফেরেশতারাও খুতবা শুনতে থাকেন।
কিন্তু সামাজিকভাবে প্রচলিত কিছু ধারনা যেমন—‘শুক্রবারে মারা গেলে কবরের সব আজাব মাফ হয়ে যায় এবং সরাসরি জান্নাতে যায়’—সেগুলো হাদিস ও ইসলামী স্কলারদের আলোকে পুরোপুরি সত্য নয়।
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যে মুসলমান জুমার দিনে বা রাতে মারা যাবে, আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে বাঁচাবেন’ (তিরমিজি : ১০৯৫)।
ইসলামী স্কলাররা এই হাদিসকে ব্যাখ্যা করে বলেছেন: শুক্রবার বা তার পূর্ববর্তী রাতের মধ্যে মৃত্যু হলে, মৃত ব্যক্তিকে কবরের আজাব ও ফিতনা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে এটি কেয়ামত পর্যন্ত আজাব না থাকবার নিশ্চয়তা দেয় না। খ্যাতিমান স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, শুক্রবারে মৃত্যু একটি শুভ সংকেত। এটি মৃত ব্যক্তির জন্য কবরের প্রথম ধাপ সহজ করে, যা পরবর্তী আখিরাতের ধাপগুলোও সহজ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে।
সুতরাং, শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করলেই সরাসরি জান্নাত বা কেয়ামত পর্যন্ত কবরের আজাব বন্ধ হবে—এমন ধারণা সঠিক নয়। তবে এটি মুসলিম সমাজে একটি আশার সঙ্কেত হিসেবে বিবেচিত।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।