বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ বেতনধারী তাসকিন

রাহুল রাজ | প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৬

বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ বেতনধারী তাসকিন

গত বোর্ড সভায় কেন্দ্রীয় চুক্তির খসড়া পেশ করা হয়েছিল, তবে তা তখনই অনুমোদিত হয়নি। কিন্তু সেই তালিকার খসড়া ভেসে বেড়াচ্ছিল প্রকাশ্যেই, অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেটাও হয়ে গেল। গতকাল আগামী এক বছরের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা পাওয়া ২২ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

গত ১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই চুক্তি। যদিও তালিকা প্রকাশের আগেই দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তাকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকায় ২২ ক্রিকেটারের মধ্যে এ+ গ্রেডে রয়েছেন শুধু মাত্র তাসকিন আহমেদ। প্রতি মাসে তিনি বেতন বাবদ ১০ লাখ টাকা।

এ গ্রেডে রয়েছে চার জন। তারা হলেন-নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। বেতন বাবদ তারা পাবেন ৮ লাখ টাকা। যদিও মুশফিকুর রহিম চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা দেওয়ায় তাকে এ গ্রেড থেকে বি গ্রেডে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারণ তিনি শুধু মাত্র একটি ফরম্যাটেই খেলবেন সেটিও সাদা পোশাকে।


এছাড়া বি গ্রেডে রাখা হয়েছে ৭ ক্রিকেটারকে। তারা হলেন মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহীদ হৃদয়, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। তাদের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা। কিন্তু তালিকা প্রকাশের আগেই বিসিবির কাছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অনুরোধ করেছেন তাকে এই চুক্তি থেকে সরিয়ে নিতে। চলতি মার্চ মাস থেকে তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বিবেচনা না করার জন্য অনুরোধ করে।

 

এ দিকে কেন্দ্রীয় চুক্তির ডি গ্রেডে রয়েছে আট ক্রিকেটার। তারা হলেন-সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলী অনিক, তানজিদ হাসান তামিম, শরীফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শেখ মাহেদী। বিসিবি থেকে প্রতি মাসে তারা বেতন বাবদ পাবেন ৪ লাখ টাকা। এছাড়া সর্বশেষ অর্থাৎ ডি গ্রেডে রয়েছেন দুই ক্রিকেটার, নাসুম আহমেদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। তাদের বেতন ধরা হয়েছে ২ লাখ টাকা।

এর আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর, মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিমের জাতীয় দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মুশফিক সম্প্রতি এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং মাহমুদউল্লাহ, যিনি তার ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ২৩৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, দ্রুতই একই পথে হাঁটবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ধারণা করা হচ্ছে যে, মাহমুদউল্লাহ বোর্ডকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণে আগ্রহী নন, এবং কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে তার সরে আসা সম্ভবত সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top