বন্যা থেকে মুক্তি মিললেও বাড়ছে ভাঙ্গন
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৪:৩১
জুনায়েদ আলী সাকী। নিউজফ্ল্যাশ৭১.কম
সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ধাপে ধাপে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা দীর্ঘায়িত হওয়া এ মৌসুমে বন্যার ভয়াল থাবা শেষ হতে চলেছে। কারণ বেশিরভাগ নদীর পানি কমে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্ষা বিদায়ের পর সারাদেশে বৃষ্টিপাতও কমে গেছে। দেশে বন্যা সৃষ্টির অন্যতম কারণ; ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা অঞ্চলেও বৃষ্টি কমে এসেছে। আপাততঃ এ মৌসুমে নতুন করে ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টির আশংকা নেই। তাই কিছুটা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে কর্মরত প্রকৌশলীবৃন্দ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১০১ টি স্টেশনের ৭৮ টিতেই নদীর পানি কমে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। সারাদেশে কমে গেছে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ। সব নদীর পানি বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশে বন্যার মূল কারণ ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও কমেছে বৃষ্টি।
এদিকে নদীর পানি কমার সাথে তীব্র হয়েছে ভাঙ্গন। সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, জামালপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে তীব্র হয়েছে নদী ভাঙ্গন। গেল বছরের মত এবারও মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং শরীয়তপুরের পদ্মা তীরবর্তী এলাকায় বিলীন হয়ে যাচ্ছ ঘর-বাড়ী, বিস্তীর্ণ ভূমি। নদী ভাঙ্গন রোধে ফেলা হচ্ছে বালির বস্তা। পুরো সেপ্টেম্বর ধরে পানি কমার সাথে অব্যাহত থাকতে পারে নদী ভাঙ্গন।
জুআসা/এমকে/এনএফ৭১
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।