ঢাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের, আরও কমবে তাপমাত্রা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:১৯

আরও কমবে তাপমাত্রা

পৌষের ১৮ দিন পেরিয়ে অবশেষে রাজধানী ঢাকায় জানান দিচ্ছে শীত। এক মাস ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলে ঠান্ডার প্রকোপ থাকলেও ঢাকার আবহাওয়া ছিল উষ্ণ। তবে গতকাল বুধবার এক লাফে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় রাজধানীবাসী এবার শীতের প্রভাব টের পাচ্ছে। কুয়াশার সঙ্গে বাতাস যোগ হওয়ায় রাজধানীতে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘনকুয়াশা ভেদ করে দিনভর উঁকি দেয়নি সূর্য। কুয়াশার কারণে সড়কে যানবাহন চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ১৫ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সোমবার ছিল ১৮ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, সূত্রাপুর, পোস্তগোলা, গুলিস্তান, রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডা, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা ও তেজগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীত রীতিমতো কাবু করে ফেলেছে মানুষকে। তীব্র ঠান্ডার কাঁপুনিতে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা চরমভাবে ব্যাহত। দিনমজুরেরা কাজের ফাঁকে উষ্ণতার খোঁজে আগুন পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে, উত্তরের হিমশীতল বাতাসের প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়ালেও দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে সূর্যের দেখা মেলেনি। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর এবং রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরসহ প্রায় সব জেলাতেই জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকছে ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ, পাবনা, নাটোরে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রির ঘরে। সারা দিনেও দেখা মিলছে না সূর্যের।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, আরও দু-তিন দিন এমন পরিস্থিতি এমন থাকবে।

এদিকে জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তিন থেকে পাঁচটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে শীত বাড়বে এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে।

আবহাওয়ার এক মাসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বর মাসে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। ওই মাসে একাধিক লঘুচাপের কারণেই শীতের প্রকোপ কমে গিয়েছিল, এ মত দেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, অন্তত তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয় ডিসেম্বরে।

আবহাওয়া অধিদফতরের জানুয়ারির পূর্বাভাসে বলেছে, এ মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। আবার এ মাসে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top