ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী ফেরিতে আগুন, নিহত ১০
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩, ২১:৪২
ফিলিপাইনে একটি ফেরিতে আগুন লাগার ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২৩০ জন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বাসিলান প্রদেশের উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
দক্ষিণ মিন্দানাওয়ের উপকূলরক্ষী প্রধান কমোডোর রেজার্ড মারফে জানিয়েছেন, একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফেরিটি ৪৩০ জন লোক বহন করতে পারে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর প্রকাশ করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, জাহজটির আগুন নেভাতে একদিকে পানি স্প্রে করা হচ্ছে অন্যদিকে যাত্রীদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
তদন্তে সহায়তার পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাসিলান প্রদেশের দুর্যোগ হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা অফিসের প্রধান নিক্সন অ্যালোঞ্জো বলেন, সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়া সাতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে এবং কমপক্ষে ১৯৫ যাত্রী ও ৩৫ জন ক্রুকে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধারকারীরা জাহাজে চারটি লাশ খুঁজে পায় এবং ছয়জনকে জীবিত উদ্বার করেছে। তিনি বলেন, পানিতে ঝাঁপ দেয়া যাত্রীরা ডুবে মারা গেছে। আবার কেউ কেউ দগ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আলোঞ্জো জানান, এম/ভি লেডি মেরি জয় ফেরিটি জোলো থেকে জাম্বোয়াঙ্গা শহরের দিকে যাওয়ার পথে বুধবার রাত স্থানীয় সময় ১০টার দিকে বাসিলান প্রদেশের হাদজি মুহাম্মদ শহরের বালুক-বালুক দ্বীপের জলে পৌঁছালে সেটিতে আগুন ধরে যায়।
ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, তারা অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তায় কর্মী ও জাহাজ মোতায়েন করেছে। তবে তারা হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। কোস্ট গার্ড তদন্ত ও নিরাপত্তা মূল্যায়নে সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়ার কোনো লক্ষণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছে।
ফিলিপাইন ৭ হাজার ৬০০ টিরও বেশি দ্বীপের একটি দেশ। কিন্তু দেশটির একটি দুর্বল সামুদ্রিক সুরক্ষা রেকর্ড রয়েছে, অনেক পুরানো জাহাজ এখনও ব্যবহৃত হয় এবং প্রায়শই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে। গত বছরের মে মাসে দ্রুতগতির একটি ফেরিতে আগুন লেগে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়। ওই ফেরিতে ১৩৪ জন যাত্রী ছিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।