সাধারণ ক্ষমা পেলেন অং সান সু চি, মুক্তির জন্য অপেক্ষা
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২৩, ২৩:২৭
মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমা করে দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী ও তাদের সরকার। তার বিরুদ্ধে আনা অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে তাকে পাঁচটির জন্য ক্ষমা করেছে জান্তা সরকার।
এসব অপরাধের জন্য সু চিকে ৩৩ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার বৌদ্ধ ধর্মের বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে সু চি ছাড়াও সাত হাজারের বেশি বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হয়।
মিয়ানমারের সাবেক এ প্রভাবশালী নেত্রীকে গত সপ্তাহে কারাগার থেকে বের করে রাজধানী নাইপিডোতে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ২০২১ সালের শুরুর দিকে একটি অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর থেকে তিনি কারাবন্দী ছিলেন। নির্বাচনী জালিয়াতি, উস্কানি ও দুর্নীতির দায়ে তিনি এ কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। তবে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ক্ষমা করা সত্ত্বেও অং সান সু চির আটক থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে এএফপি জানিয়েছে, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই নেত্রীর বিরুদ্ধে এখনও ১৪টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে চলমান ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র পাঁচটি মামলা ক্ষমা করা হয়েছে।
২০২১ সালে সু চি সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহনী ক্ষমতা দখল করে। এরপর দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। সেনা অভ্যুত্থানের পর শুরুতে সু চিকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পরে গত বছর নাইপিডোতে তাকে কারাবাসে পাঠানো হয়।
শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি প্রায় ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দি থাকার পর ২০১০ সালে মুক্তি পান। সামরিক শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট মিয়ানমারে বন্দি সু চি বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠেছিলেন। মিয়ানমার ও বিশ্বজুড়ে তার মুক্তি উদযাপন করা হয়েছিল।
তবে পরবর্তীকালে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে চুপ থেকে তিনি সমালোচিত হন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।