জেনিনে শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলা, ২৩ বাড়ি ধ্বংস
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:৪৮
দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের গাজায় এখন চলছে যুদ্ধবিরতি। এর মধ্যেই এবার ইসরায়েলের বর্বর বাহিনী ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে নৃশংসতা শুরু করেছে। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ২৩টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যা করে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করা ইসরাইলের নতুন অভিযানে ৫০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, এর শব্দ শোনা গেছে আশেপাশের শহরগুলো থেকেও। জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের আদ-দামজ এলাকার একটি আবাসিক ব্লক উড়ে গেছে বলে জানায় আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জেনিনে কয়েকটি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। এ ভবনগুলো সন্ত্রাসী অবকাঠামো হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। তবে এর কোনো প্রমাণ দেয়নি ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী গত মাস থেকে পশ্চিম তীরে অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আয়রন ওয়াল। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশি সরকারপ্রধান হিসেবে হোয়াইট হাউস যাচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্পের অভিষেকের পর প্রথম কোনো নেতা হিসেবে তার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টিকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের মৈত্রী শক্তির স্মারক হিসেবে দেখছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে টেলিফোনে কথা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির। দুই নেতা গাজা যুদ্ধবিরতি জোরদারের বিষয়ে একমত হন বলে নিশ্চিত করেছে মিশরের প্রেসিডেন্টের দফতর।
গাজা থেকে জিম্মিদের মুক্ত করতে মিশরের ভূমিকার গুরুত্ব নিয়ে দুই নেতা কথা বলেন বলে জানায় হোয়াইট হাউস। ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে পারবেন বলে নিজের আত্মবিশ্বাসের কথাও জানান সিসি। ফিলিস্তিনিদের না সরিয়েই উপত্যকাটি পুনর্গঠনে কাজ করতে চায় মিশর বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এরমধ্যেই হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ দারবিশ এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। গাজার যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত এবং আহতদের চিকিৎসা ও মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের আশ্রয় দেয়ার প্রস্তুতির কথা জানায় তুরস্ক।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।