এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কী জানেন। হোয়াইট হাউজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডা। বিষয়টি ঘিরে ইউক্রেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে এরইমধ্যে জেলেনস্কিকে আশার কথা শুনিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপীয় জোট।
বিশ্ব রাজনীতির মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে কথা বলবে, এমন সাধ্য আছে কার? তবে এবার সেটিই করে দেখিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে নজিরবিহীন সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
ইউরোপের প্রভাবশালী নেতারা যা চিন্তাও করতে পারেন না, সেটিই করে দেখিয়েছেন জেলেনস্কি। আর তাই হয়তো ইউরোপের মাটিতে ফিরেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন তিনি। যা স্পষ্ট ভাবেই ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এবার একজোট হচ্ছে ইউরোপের নেতারা।
ইউরোপের সাথে ট্রাম্প প্রশাসনের টানাপোড়েন মূলত শুরু হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সৌদি আরবের রিয়াদে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনকে ছাড়াই আলোচনায় বসে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। অসঙ্গত এই আচরণ একদমই মেনে নিতে পারেননি ইউরোপের নেতারা।
তখন থেকেই গুঞ্জন চলছিলো ইউক্রেন ইস্যুতে একজোট হচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। তবে ওভাল অফিসে ঘটে যাওয়া নাটকীয় ঘটনার পর অনেকেই মনে করছেন, সেই গুঞ্জনই এখন বাস্তবে রূপ নেওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ওভাল অফিসের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার নেতাদের ছাড়া বিশ্বনেতাদের প্রায় সবাই জেলেনস্কির সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। এমনকি ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরই অনেক রাজনীতিক। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ হয়ত শিগগিরই থেমে যাবে। তবে এই ইস্যুকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন এক মেরুকরণ দেখতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।