ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল চেয়ে মার্কিন আদালতে মামলা

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৫৬

ফাইল ছবি

ট্রাম্পের শুল্কনীতি বাতিল চেয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা করেছে আইনি সহায়তা একটি সংস্থা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের বিষয়টি স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়। মঙ্গলবার ( ১৫ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। ‘লিবার্টি জাস্টিস সেন্টার’ নামে ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা পাঁচটি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন আমদানিকারক সংস্থার পক্ষে এই মামলাটি করেছে। এসব সংস্থা এমন কিছু পণ্য আমদানি করে যেগুলোর ওপর ট্রাম্প প্রশাসন শুল্ক আরোপ করেছে।

লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের সিনিয়র কাউন্সেল জেফরি শোয়াব বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে এমন ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে— এমন কর আরোপের ক্ষমতা কোনো একক ব্যক্তির হাতে থাকা উচিত নয়। সংবিধান অনুসারে, কর নির্ধারণের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের নয়।

মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে যে ব্যবসাগুলোর নাম উঠে এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি ওয়াইন ও স্পিরিট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, একটি স্পোর্টফিশিং যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও বিক্রয়কারী ই-কমার্স কোম্পানি, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান থেকে আমদানি করা রজন দিয়ে তৈরি ইউএস ভিত্তিক পাইপ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ভার্জিনিয়ার একটি ইলেকট্রনিক কিট এবং বাদ্যযন্ত্র নির্মাতা ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং ভেরমন্টের নারীদের সাইক্লিং পোশাক প্রস্তুতকারক একটি ব্র্যান্ড।

ট্যারিফবিরোধী আরেকটি অনুরূপ মামলা ফ্লোরিডার একটি ফেডারেল আদালতেও চলমান, যেখানে এক ছোট ব্যবসার মালিক চীনের উপর আরোপিত ট্যারিফ বাতিলের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

গত ২ এপ্রিল বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর বর্ধিত রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। অতিরিক্ত এই শুল্ক আরোপকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। গত ১০ এপ্রিল অবশ্য চীন ব্যাতীত অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত করেছেন ট্রাম্প, তবে তার আগেই তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেছে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে। বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দামের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে পুঁজিবাজার থেকে ‘গায়েব’ হয়ে গেছে শত শত কোটি ডলার।

লিবার্টি জাস্টিস সেন্টারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও আইনজীবী জেফ্রি শোয়াব এক বিবৃতিতে বলেন, “কোনো ব্যক্তিরই শুল্ক বা কর আরোপের এমন ক্ষমতা থাকা উচিত নয়, যা বিশাল বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, যাবতীয় কর বা শুল্ক আরোপের এক্তিয়ার কংগ্রেসের (মার্কিন আইনসভা), প্রেসিডেন্টের নয়।”

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top