গাজয় ইসরায়িলি হামলায় নিহত আরো ১১৫
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৫, ১৫:২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হত্যাযজ্ঞের মাত্রা বেড়েই চলছে। সবশেষ সেখানে ইহুদিবাদী ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ-এর বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১১৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১৬ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবর।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানে গাজা উপত্যকায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১১৯ জন। আহতের সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১ লাখ ২০ হাজার ২১৪ জনে। আর হতাহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আনাদোলু তাদের প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘গিডিয়নের রথ’ অভিযানের শুরুতে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে। যার মাধ্যমে সেনারা গাজা উপত্যকার এলাকাগুলো দখল করবে। অভিযানের আগে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজার কিছু অংশ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আল জাজিরা নিজেদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শরণার্থী শিবির ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ। গত কয়েক দিনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। গাজার মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহর দক্ষিণ-পূর্ব অংশে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
পাশাপাশি আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের কাছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতেও হামলা চালানো হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এ ছাড়া গাজার দক্ষিণের রাফাহ শহরেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একটি ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন। খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চল থেকে সরে যাওয়ার সময় আরেকটি হামলায় একটি চলন্ত গাড়িতে নিহত হন দাদা ও তার দুই নাতি।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। ওই আদালত নেতানিয়াহু ও তার তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।