চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাগাগুচি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:১৯

চলতি বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন বিশিষ্ট গবেষক— মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাগাগুচি।
‘পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স’ বিষয়ক যুগান্তকারী গবেষণার স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এ বছরের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স হলো মানবদেহের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমের এমন এক প্রক্রিয়া, যা দেহের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) কিংবা ক্ষতিকর নয় এমন বহিরাগত উপাদানের (যেমন কিছু খাদ্য উপাদান বা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া) বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া প্রতিরোধ করে।
এই আবিষ্কার অটোইমিউন রোগ, অ্যালার্জি এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জটিলতা নিয়ন্ত্রণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নোবেল বিজয়ীরা প্রত্যেকে একটি করে সোনার মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা (প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার) অর্থ পুরস্কার হিসেবে পাবেন।
বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। যদি কোনো বিভাগে একাধিক ব্যক্তি পুরস্কার পান, তবে পুরস্কারের অর্থ সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, আর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে নোবেল ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস।
প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন বিভাগে একে একে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় মেরি ব্রাঙ্কো, ফ্রেড রামসডেল ও শিমন সাগাগুচিকে এই মর্যাদাপূর্ণ সম্মাননায় ভূষিত করায় বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী সমাজ ও গবেষণা মহলে ব্যাপক প্রশংসা ও স্বীকৃতি মিলেছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।