শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

ইসরায়েলে ‘সুনামি’র মতো অভিবাসন প্রবাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৪

ছবি: সংগৃহীত

কেনেসেট রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০২২ সালের শুরুর দিকে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত আনুমানিক ১ লক্ষ ২৫ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি স্থায়ীভাবে দেশ ছেড়ে গেছে — অর্থাৎ তারা ফিরে আসার পরিকল্পনা ছাড়াই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে —

  • ২০২২ সালে প্রায় ৫৯,৪০০ জন দেশ ছেড়েছেন। 

  • ২০২৩ সালে এটি বেড়ে প্রায় ৮২,৮০০ জন হয়েছে

  • ২০২৪ সালের প্রথম আট মাসেই প্রায় ৫০,০০০ জনেরও বেশি দেশের বাইরে গেছেন।

  • তুলনায়, ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরে দীর্ঘমেয়াদি প্যারোলা (অনুপ্রবেশ/প্রত্যাবর্তন প্রভৃতি বাদে) গড় অভিবাসন সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০,৫০০ জন।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, অধিকাংশ অভিবাসীদের বয়স ২০–৩৯ বছরের মধ্যে — অর্থাৎ কর্মক্ষম, শিক্ষিত তরুণ-প্রজন্ম — যারা দেশের জন্য “মানবসম্পদ” হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন। 

কমিটির মন্তব্য:
এ বিষয়ে গিলাদ কারিভ বলেন —

“এটি শুধু অভিবাসনের ঢেউ নয় — এটি একপ্রকার ‘সুনামি’, যেখানে ইসরায়েলিরা দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।”

সম্ভাব্য কারণ ও প্রেক্ষাপট

  • যুদ্ধ ও নিরাপত্তা-পরিস্থিতি: গাজা এলাকা-তে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান ও সহিংসতা অভ্যন্তরীণ উদ্বেগ বাড়িয়েছে — যা অভিবাসনের এই প্রবণতার এক কারণ হতে পারে।

  • প্রত্যাবর্তনের ঘাটতি: বিদেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এমনদের সংখ্যা বাড়লেও, ফিরে আসছেন কম। এই ভারসাম্যহিনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

  • দেশে টেকসই কর্মসংস্থান ও সুযোগ সংকট: বিশেষ করে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে দেশেই সুযোগ খুঁজে পাচ্ছেন না এমন ভাবনায় দেশ ছাড়ার ঝোঁকা।

কি লিখতে হবে পাঠকের জন্য

ইসরায়েলের জন্য এটি একটি বড় সংকেত: মানবসম্পদ বিপরে যাচ্ছে, কর্মক্ষম প্রজন্ম দেশছাড়ছে, যা ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তাগত প্রভাব ফেলতে পারে।
রিপোর্ট বলছে — যদি এই প্রবণতা বন্ধ না করা যায়, তাহলে এটি শুধু ‘অভিবাসন ঢেউ’ নয় — ‘মানবসম্পদ সঙ্কট’, ‘মাইগ্রেশনের সুনামি’— বলতেই হয়।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top