সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

আর্জেন্টিনার পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের দলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:০৩

সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই-এর নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল লা লিবেরতাদ অ্যাভেঞ্জা ব্যাপক জয় পেয়েছে। পার্লামেন্টের নিম্ন ও উচ্চ—উভয় কক্ষেই অর্ধেকেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন দলটির প্রার্থীরা, যা দেশটির রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় সূচিত করেছে।

আর্জেন্টিনার নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ১২৭টি এবং উচ্চকক্ষে ২৪টি। দেশটির ইলেকশন কমিশনের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, লা লিবেরতাদ অ্যাভেঞ্জা দল নিম্নকক্ষে ৬৪টি ও উচ্চকক্ষে ১৩টি আসনে জয় পেয়েছে। অর্থাৎ উভয় কক্ষেই অর্ধেকেরও বেশি আসনে প্রভাব বিস্তার করেছে প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের দল।

২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রক্ষণশীল অর্থনৈতিক নীতির জন্য আলোচিত মিলেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সরকার হবে “ইলেকট্রিক করাতের মতো”—অপ্রয়োজনীয় সরকারি খাত ছেঁটে ফেলা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতায় গত দুই বছরে শিক্ষা, পেনশন ও অবকাঠামো খাতে ব্যয় ব্যাপকভাবে কমানো হয়। হাজার হাজার সরকারি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

যদিও এসব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বহুবার আন্দোলন হয়েছে, তবু মিলেই সরকার অবস্থান থেকে সরে আসেনি। বরং জনগণের একটি বড় অংশ তার ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির’ পক্ষে ছিল। আগের নির্বাচনে দলটি নিম্নকক্ষে মাত্র ৩৭টি এবং উচ্চকক্ষে ৭টি আসন পেয়েছিল—তুলনায় এবারের জয় অভূতপূর্ব।

তবে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছেন, নির্বাচনে মিলেইয়ের জয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল। তাদের দাবি, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—যদি লা লিবেরতাদ অ্যাভেঞ্জা জয়ী হয়, তাহলে আর্জেন্টিনাকে সহায়তা হিসেবে ৪ হাজার কোটি ডলার দেওয়া হবে।

ফলাফল ঘোষণার পর মিলেই ট্রাম্পের স্লোগান অনুসরণ করে বলেন,

“আর্জেন্টিনার ইতিহাসকে চিরতরে বদলে দিতে আমাদের সংস্কারের পথকে আরও দৃঢ় করতে হবে… আমরা আর্জেন্টিনাকে ফের মহান করে তুলতে চাই।”

এক তরুণ ভোটার ডিওনিসিও গণমাধ্যমকে বলেন, “ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা একটি সুন্দর দেশে বেড়ে উঠুক। আমি বিশ্বাস করি, প্রেসিডেন্ট মিলেই আগামী এক বছরের মধ্যে দেশকে বদলে দিতে পারবেন।”

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুলে চাকরি করা তরুণী জুলিয়ানা ভিন্ন সুরে বলেন, “মিলেই আসার আগে আমরা সরকারি ভর্তুকি পেতাম। এখন তা বন্ধ হয়ে গেছে। স্কুল চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা আগেও দরিদ্র ছিলাম, কিন্তু এখন আরও বেশি কষ্টে আছি।”

 

নিফ্লা৭১/ওতু



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top