গিনি-বিসাউয়ে সেনা অভ্যুত্থান, প্রেসিডেন্টসহ নির্বাচনী নেতারা আটক
নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:১৪
গিনি-বিসাউয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। বুধবার দেশটির একদল সেনা কর্মকর্তা দেশের ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিজেদের হাতে নেওয়ার ঘোষণা দেন। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী দাবি করার মধ্যে সামরিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের পরিচয় ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ হিসেবে ঘোষণা করা কর্মকর্তারা জাতীয় টেলিভিশনে জানিয়েছেন, তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, সব স্থল, আকাশ ও নৌ সীমান্ত বন্ধ এবং রাতের কারফিউ জারি করেছেন।
ঘোষণার আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে গুলির শব্দ শোনা যায়। রোববারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াস মধ্যে ভোটের ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যায়। এমবালো ফরাসি গণমাধ্যম ফ্যান্স২৪-কে জানান, “আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরে আছি।”
আলজাজিরা জানিয়েছে, এমবালোকে আটক করা হয়েছে। বিরোধী দল পিএআইজিসি’র প্রধান ডমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চলছে। সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেনিস এন কানহা, যিনি প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন।
১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকে গিনি-বিসাউয়ে বারবার অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানচেষ্টা দেখা গেছে। চলতি নির্বাচনের আগ থেকেই এটি বিতর্কিত ছিল। প্রধান বিরোধী দল পিএআইজিসি’র ওপর নিষেধাজ্ঞা নির্বাচনের প্রতি সন্দেহ বাড়িয়েছে। এমবালো এবং দিয়াস উভয়ই প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছিলেন।
ইকোওয়াস ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সামরিক হস্তক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগের’ সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং শান্ত থাকার পাশাপাশি আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।