আমেরিকা-রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি মহড়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা!
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২১, ১৮:৪০
কৃষ্ণ সাগরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছল রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে। দুই দেশ পাল্টাপাল্টি মহড়া চালালে এই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পাল্টাপাল্টি এ মহড়ার কারণে যেকোনও মুহূর্তে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহড়াকে উসকানি আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করার আহ্বানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ দিয়ে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে মস্কো।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণ সাগরে অত্যাধুনিক রণতরী থেকে গুলি করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে রাশিয়া। গত সপ্তাহেই রুশ জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগ এনে ব্রিটিশ রণতরীকে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করে মস্কো। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখলে নেয় রাশিয়া। আর তাই রাশিয়ার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার কোনও এখতিয়ার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় লন্ডন।
কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়া যখন নৌমহড়া চালাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়েই বৃহত্তর উপদ্বীপটির ওই অঞ্চলে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার দিয়ে সামরিক মহড়া চালায় ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরা।
এমআই ফোর্টিন ও এমআই এইট হেলিকপ্টারের পাশাপাশি এসইউ টোয়েন্টি ফাইভ ও এসইউ টোয়েন্টি সেভেন যুদ্ধবিমান তাতে অংশ নেয়। রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আগামী দুই সপ্তাহ এই সামরিক মহড়া অব্যাহত থাকবে। এতে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর ৫ হাজার সেনা সদস্য এবং ৩০টি যুদ্ধজাহাজ ও ৪০টি অত্যাধুনিক বিমান অংশ নেবে।
আন্তর্জাতিকভাবে ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ হলেও ২০১৪ সালে তা নিজেদের দাবি করে রাশিয়ার দখলে নেয় পুতিন সরকার। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জানায় রাশিয়া। নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেয় দেশটি।
কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক মহড়ার কারণে অঞ্চলটিতে যুদ্ধ বাধার আশঙ্কা করছেন স্কট রিটার নামে সাবেক এক মার্কিন নৌকর্মকর্তা।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।