শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

দেশ হাসিনামুক্ত হলেও গণতন্ত্র ফেরেনি: ফখরুল

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৮:৪৩

ছবি: সংগৃহীত

দেশ হাসিনামুক্ত হলেও গণতন্ত্র ফেরেনি বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যা দেখতে চায় না, কুমিল্লার ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস, রাজধানীর উত্তরায় নিহত ছাত্রদল নেতা মুন্না এবং যৌথবাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মতো ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি বিএনপি চায় না বলে জানান তিনি।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১৩ নং সেক্টর খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের শীত এবং শাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ হাসিনা মুক্ত হয়েছে কিন্তু গণতন্ত্র ফিরে নাই। শেখ হাসিনা যে জঞ্জাল তৈরি করেছে তা সংস্কার করে নির্বাচন দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, জনগণের তাই প্রত্যাশা, জনগণ যাকে খুশি তাকে নির্বাচিত করবে। ড. ইউনূসের সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে যেনো জনগণ তার অধিকার ফিরে পেতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার যে দুষ্টামি, মানুষের ক্ষতি করা তা তিনি ছাড়েননি। দিল্লিতে বসে দলীয় কর্মীদের তিনি বলছেন তোমরা তৈরি হও টুপ করে চলে আসবো। পদ্মা সেতু থেকে বেগম জিয়াকে টুপ করে ফেলে দিতে চেয়েছিলো, ঠিক সেভাবে টুপ করে চলে আসতে চান শেখ হাসিনা। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে তাকে। মানুষ ভুলবে না। তিনি কেমন মহিলা তার মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই, এতোগুলো মানুষ তিনি হত্যা করলেন। কতটা ভয়াবহ যে তিনি জাতির উপর চেপে বসেছিলো।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে গেছে, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, এগুলা যে বাড়লো সেটা যে শুধু ব্যবসায়ীরাই দায়ী তা না, বিগত সরকারের দুর্নীতিও দায়ী। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে।

বিএনপি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চায় না মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে বিএনপি। কিন্তু গতকাল যৌথবাহিনীর নির্যাতনে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে৷ যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার দেখতে চায়, আর কোন নির্যাতন দেখতে চায় না বিএনপি। কোন কিছু দখল করা কিংবা নির্যাতন করা এসব যেনো আওয়ামী লীগের মত বিএনপির কেউ না করে সেই আহ্বান জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন যখনই হোক জনগণ না চাইলে বিএনপি ভোট পাবে? ভোট পেতে হলে জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের ভালোবাসতে হবে, তাদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। তবে ভোট এতো সোজা ব্যাপার না, মানুষের মন যেকোন দিকে ঘুরে যেতে পারে, সে বিষয়ে নিজেদের সাবধান থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থাকবেন সে অনুরোধ থাকবে। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

অযথা সংঘাতমূলক রাজনৈতিক কথা না বলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্ররা রাজনৈতিক দল করবে বিএনপি আনন্দিত। নতুন চিন্তাধারা নিয়ে জনগণের কাছে তারা যাবে, তাকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু সরকারে থেকে রাজনৈতিক দল করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top