ঈশ্বরদীতে ঘরে ঘরে জ্বর–সর্দি–কাশি
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২১, ০৪:১৭
ঈশ্বরদীতে প্রায় প্রতি ঘরে দেখা দিয়েছে জ্বর। আক্রান্তরা এর পাশাপাশি ভুগছেন সর্দি–কাশিতেও। পরিবারে একজন জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরাও হচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, এবারের জ্বর অন্যবারের তুলনায় ভিন্ন লক্ষণ নিয়ে দেখা দিয়েছে।
অন্যান্য সময়ে জ্বরের সঙ্গে সর্দি–কাশি থাকলেও শরীর ম্যাজম্যাজ ছিল না। এবার অনেকেই শরীরে ব্যথা অনুভব করছেন। একবার শুরু হলে সপ্তাহ পেরিয়েও ছাড়ছে না জ্বর। এদিকে এই জ্বরে পরিবারের শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকের তাপমাত্রা কমলেও অক্সিজেন লেভেল দ্রুত নেমে যাচ্ছে। তবে তাঁদের খুব কমই করোনার পরীক্ষা করাচ্ছেন।
ফলে উপজেলায় কতজন করোনা রোগী আর কতজন মৌসুমি জ্বরে আক্রান্ত তা নিশ্চিত বলতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে যে জ্বরই হোক না কেন, শুরুতে রোগীকে আইসোলেশনে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। এতে পরিবারের সদস্যরা এ রোগ থেকে রেহাই পাবেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৮ মে ঈশ্বরদীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এ বছরের জানুয়ারি ৬২, ফেব্রুয়ারি ৮৪, মার্চ ১০২, এপ্রিল, ৯২ ও মে ৮১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে জুন মাসের ১ হাজার ২৭ জন করোনা আক্রান্ত। এ ছাড়াও উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পৌর সদরের রহিমপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, তাঁর শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৫০) ছয় দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। গত মঙ্গলবার সকালে তাঁর জ্বর ৯৯ ডিগ্রি হলেও অক্সিজেন লেভেল ৯৩–তে নেমে যায়।
এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে সিরাজগঞ্জ চৌহালি উপজেলার খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন বুধবার তাঁর নমুনা দিলে করোনা পজিটিভ আসে। সোমবার সকাল পর্যন্ত তাঁর অক্সিজেন লেভেল অপরিবর্তিত ছিল।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে আসা বেশির ভাগ রোগী জ্বর নিয়ে আসছেন। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জ্বরের রোগী বেড়েছে।
সেই সঙ্গে বেড়েছে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। তিনি আরও বলেন, যারা জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথায় দুই দিনের বেশি সময় আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁরা দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফ্লু-কর্নারে এসে স্যাম্পল দিয়ে যাবেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।