উন্নত খাবার পেল ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী শিশু
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে | প্রকাশিত: ১৬ আগষ্ট ২০২১, ২৩:৫৭
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৫শতাধিক প্রতিবন্ধী শিশু পেল উন্নত খাবার। যাতায়াতের জন্য প্রতি প্রতিবন্ধী শিশুকে দেওয়া হলো ১শত টাকা। এছাড়া করোনা নিয়ে কাজ করা টিম লাইফ সাপোর্টের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে একটি করে পাঞ্জাবী উপহার দেওয়া হয়। এই মহতী কাজ করলো গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন।
সোমবার উপজেলার বান্দল গ্রামে মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের কার্যালয় চত্বরে বসে এ খাবার ও পাঞ্জাবী বিতরণ করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে খাবার ও ১শত টাকা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে পাঞ্জাবী তুলে দেন।
মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাভলু শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খাবার ও পাঞ্জাবী বিতরণ অনুষ্ঠানে ঘাঘর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাদের আলী মিয়া, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল হাসান শুভ, প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান মিঠু, মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বশির বিন সামচুদ্দিন, টিম লাইফ সাপোর্টের পরিচালক সুশান্ত মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামিম দাড়িয়া বক্তব্য রাখেন।
আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফাউন্ডেশনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবন্ধীদের মাঝে উন্নত খাবার বিতরণ করলো। যে সব প্রতিবন্ধী শিশুরা এখানে এসেছে তাদের যাতায়াতের জন্য ১শত টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
টিম লাইফ সাপোর্টের পরিচালক সুশান্ত মন্ডল বলেন, ১বছর ধরে টিম লাইফ সাপোর্ট করোনা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের কাজে খুশি হয়ে মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবকদের উপহার হিসেবে একেটি করে পাঞ্জাবী দিয়েছে। তাদের এই উপহার পেয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা ভাল কাজের জন্য আরো উৎসাহিত হবে। এই উপহার দেওয়ার জন্য আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রতিবন্ধী শিশু রিয়া খানমের মা রোশনী বেগম বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ইদ ও বিশেষ দিনগুলোতে মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিবন্ধী শিশুদের
বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করে আসছে। আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আমার মেয়েকে উন্নত খাবার ও যাতায়াতের জন্য ১শত টাকা দিয়েছে। এ জন্য আমরা খুশি।
মারুফ সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাভলু শেখ বলেন, মারুফ নামে আমার একটি প্রতিবন্ধী শিশু ছিল। শিশুটি ১১ বছর বয়সে মারা যায়। আজও বেঁচে থাকলে ওর বয়স হতো ১৭ বছর। ১৭ বছরের একটি শিশুর পিছনে মাসে আনুমানিক যে টাকা খরচ হওয়ার কথা আমি সেটা জমা করে রাখি। ৫/৬মাস ধরে ওই জমানো টাকা আমি এলাকার প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করি।
এর আগে ৭৫ এর ১৫ আগস্টে নিহত সকল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়া
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।