রেলে পণ্য পরিবহনে আগ্রহ বাড়ছে আমদানি কারকদের
পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:৩১
পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারলেও রেলে পণ্য পরিবহনে আগ্রহ বাড়ছে আমদানি কারকদের। যে কারণে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন থেকে গত দুই অর্থবছরে প্রায় ২’শ৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল বিভাগ। এর মধ্যে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রেন থেকে এসেছে ২৪৭ কোটি টাকা।
রেলের পশ্চিম জোনের তথ্য অনুযায়ী, রেলের পশ্চিম জোনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথে পণ্য পরিবহন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্ব ও পশ্চিম জোনের অধীনে মোট ৮টি আন্তর্জাতিক সীমান্ত পথ রয়েছে। পশ্চিম জোনের ৫টি সীমান্ত পথ দিয়েই বিদেশি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করছে। পশ্চিম জোনের এমন সাফল্যের পর বন্ধ আন্তর্জাতিক সব সীমান্ত পথ দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আমদানি কারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও ঝামেলা নেই ও অপেক্ষাকৃত কম খরচের জন্য আমদানি কারকদের রেলে পণ্য আমদানির প্রতি দিন দিন আগ্রহ বেড়েই চলেছে। রেলে আমদানি পণ্য পরিবহনে টন প্রতি খরচ হয় মাত্র ৩৬৭ টাকা। রেলের পাকশি বিভাগের দর্শনা, বেনাপোল, রহনপুর ও চিলাহাটি এবং লালমনিরহাট বিভাগের বিরল স্টেশন দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পণ্য আমদানি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী পশ্চিমাঞ্চল বিভাগের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, আমদানি কারকদের স্বার্থে রেল কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে যেসব স্টেশনে পণ্য খালাস হয় সেগুলোর আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া যমুনা নদীতে চলমান রেল সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হলে পণ্যবাহী ট্রেন সরাসরি পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য এলাকায় পরিচালনা করা হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: পাবনা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।