মান্দায় নার্সারি করে সফল মীর কাসেম
নওগাঁ থেকে | প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২২:১৩
১৯৮০ সালে মাত্র ৫হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেন নার্সারি। ২০ শতাংশ জমিতে শখের বসে করেন নার্সারি। ২০০৯ সালে মান্দা উপজেলার জোতবাজার এলাকায় ৬বিঘা জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে বড় পরিসরে শুরু করেন নার্সারি। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নার্সারিতে লাভের মুখ দেখতে পান তিনি। এরপর ধীরে ধীরে নার্সারিতে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বাড়াতে থাকেন।
কিন্তু হঠাৎ ২০২০ সালের বন্যায় তার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন আর পরিশ্রমের ফল ভেসে যায়। বন্যার পানিতে চোখের সামনেই তলিয়ে যায় পুরো নার্সারির গাছ। এতে থাকা গাছের চারা বন্যায় ভেসে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েন তিনি। কিছু চারা সরিয়ে নিতে পারলেও বেশির ভাগ চারা গাছই মরে যায় বন্যার পানিতে। এতে সাময়িকভাবে কিছুটা ভেঙেও পড়েন তিনি।
বর্তমানে মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের জোতবাজারটি ২ একর জমিতে নার্সারি করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে বেকার যুবকদের। ছেলে-মেয়ে নিয়ে নার্সারির উপর নির্ভর করেই জীবনযাপন করছেন মীর আবুল কাসেম। এবছর এই জায়গায় রোপণ করেছেন বিভিন্ন বনজ, ফলদ, ঔষধি ও ফুলের চারা। এর মধ্যে এবছর তিনি তার নার্সারিতে বিক্রি করেছেন নারিকেল ও সুপারি চারা। এছাড়া বিভিন্ন জাতের আম, ফুলের মধ্যে থাই গোলাপ, রজনীগন্ধা, হাসনাহেনা, বকুল, কৃষ্ণচূড়াসহ প্রায় ১০ প্রজাতির ফুলের চারা রয়েছে তার নার্সারিতে। এছাড়াও আছে বিভিন্ন প্রজাতির ঔষধি গাছ।
তিনি জানান, জীবিকার তাগিদে এই নার্সারিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি। পরিবারের অভাব-অনটনেও কখনোই নার্সারির স্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়নি। কয়েকবার বন্যার পানিতে গাছের চারা ভেসে গেলেও তার স্বপ্ন কখনোই তাকে পেছনে ফিরতে দেয়নি। গাছের চারা বিক্রি করে এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাদিপাত করেছেন। এই নার্সারিতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ জন বেকার যুবকের। নার্সারির জন্য তারাও ভাগ্যের চাকাটা ঘুরিয়েছেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।