পাবনায় নাচে-গানে রুশ উৎসব
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০২১, ০৪:০০
অ্যাক্রবেটিক কায়দায় ক্ষণে ক্ষণে লাফিয়ে উঠছিলেন শিল্পীরা। শূন্যে ঝাঁপ দিয়ে হাওয়ায় ভেসে পরিবেশন করছিলেন নাচ-গান। গানের তালে জুতার গোড়ালি দিয়ে মেঝে ঠুকেও চলল দৃষ্টিনন্দন নাচ। রুশ নৃত্যশিল্পীদের এমন পরিবেশনা দেখতে দেখতে চোখের পলকও ফেলতে ভুলে গিয়েছিল বহু আমন্ত্রিত অতিথিরা। শনিবার রাতে পাবনার রত্নদ্বীপ রিসোর্টে রাশিয়া ‘ন্যাশনাল ইউনিটি ডে’ উপলক্ষে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব পরমাণু বিষয়ক সংস্থা রোসাটম এ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলি মালিথা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুর রহমান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মীর্জাসহ রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার ভৌগোলিক দূরত্ব অনেক। কিন্তু সংস্কৃতি যে কোনো দূরত্ব মানে না, সেটাই প্রমাণ হলো এ আয়োজনে। শিল্পীদের কণ্ঠের মাধুর্য কিংবা যন্ত্রের সুর-মূর্ছনা ভাষার প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে গেছে। ঐতিহ্যবাহী রুশ পোশাক ও রুশ রীতিতে তৈরি বাদ্যযন্ত্র পাবনার আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ছিল নতুন।
নাচ-গানের আসরে অংশ নেন ৮ জন রুশ শিল্পী। এই দলে রয়েছেন সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, কোরিওগ্রাফার ও মেকআপম্যান। অনুষ্ঠান শেষে ঈশ্বরদীর মেয়র ইছাহক আলি মালিথা বলেন, ‘রাশিয়ার পরিবেশনার সঙ্গে আমাদের দেশের কিছু পরিবেশনার মিল পেলাম। এর মাধ্যমে নিজেরাও কিছু শিখলাম। এভাবে দুই দেশের মধ্যে যত বেশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হবে, তত বেশি আমরা সমৃদ্ধ হবো।’
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।