নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জনবলের সংকট
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৩৮
জনবলের সংকটে ধুঁকছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল। এতে চিকিৎসা সেবা নিতে এসে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও দেখা পাচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসকের। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হাজার হাজার রোগী।
জানা যায়, হাসপাতালের ২২৫টি পদের বিপরীতে জনবল রয়েছে ১৮৭ জন। হাসপাতালে শূন্য পদ রয়েছে ৩৮টি। প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার ৩৫টি পদের মধ্যে তিনটি শূন্য পদ। দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের ১২২ পদের বিপরীতে ছয়টি পদ খালি রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর ২৫ পদের বিপরীতে পাঁচটি পদ খালি রয়েছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ৪৩ পদের মাঝে ২৪টি পদ খালি রয়েছে। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, হাসপাতালের শিশু বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট, নাক-কান-গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রসূতি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট পদে কোনো চিকিৎসক নেই। এছাড়া অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর এক জন, নার্সিং সুপারভাইজার দুই জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স চার জন, সেবিকা/সেবক পদে দুই জন, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ফার্মাসিস্ট পদে একটি পদ শূন্য রয়েছে। এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন পদে আউটসোর্সিং হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৩০ জন। এর মধ্যে অধিকাংশই চতুর্থ শেণির কর্মচারী।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) এস কে ফরহাদ এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে জনবলের সংকট রয়েছে। তিন জন সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রয়োজন। এছাড়া নার্স ও অ্যাম্বুলেন্সের চালকসহ চতুর্থ শ্রেণির একাধিক পদ খালি রয়েছে। এসব জনবলের ঘাটতি পূরণ হলে আমরা আরো ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে পারব।’ জেলার সিভিল সার্জন মশিউর রহমান বলেন, জেনারেল হাসপাতালে জনবলের সংকট রয়েছে। তবে এই জনবল দিয়েই আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। আমরা ইতিমধ্যে জনবলের প্রয়োজন জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। আশা করছি শিগিগর প্রয়োজনীয় জনবল পাওয়া যাবে।
বিষয়: হাসপাতাল চিকিৎসক নারায়ণগঞ্জ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।