দেশের ৪৯ শতাংশ পানিতে ক্যান্সারের ঝুঁকি

শাকিল খান | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু বিপর্যয়ের প্রভাবে বাংলাদেশের পানিতে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। ফলে মানুষের ত্বক, মূত্রাশয় এবং ফুসফুসের ক্যান্সার বাড়ছে। ইতোমধ্যে দেশের ৪৯ শতাংশ খাবার পানিতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উচ্চমাত্রার আর্সেনিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা খাবার পানির নমুনার ওপর পরিচালিত গবেষণা নিবন্ধটিতে বলা হয়, ৪৯ শতাংশ ভূগর্ভস্থ খাবার পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ সীমা (প্রতি লিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম আর্সেনিক) অতিক্রম করেছে। কিছু নমুনায় আর্সেনিকের উপস্থিতি ছিল নিরাপদ সীমার ৪৫ গুণ অর্থাৎ প্রতি লিটারে ৪৫০ মাইক্রোগ্রাম।

আর্সেনিক নিঃসরণের মাত্রা নিরূপণে পানিতে অক্সিজেনের ঘনত্ব, পিএইচ এবং তাপমাত্রা পরীক্ষা করে গবেষণাটিতে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, আর্সেনিকের দীর্ঘ প্রভাব ক্যান্সার, রক্তনালির রোগসহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। খাবার পানিতে এই উচ্চমাত্রার আর্সেনিকের উপস্থিতির পেছনে নিয়মিত বন্যা এবং জলবায়ু সংকটের প্রভাবকে দায়ী করেছেন তারা।

২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা তলিয়ে যায়। ২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশ আরো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হবে। প্রায়ই প্রবল বন্যার মুখোমুখি হয় দেশটি। বর্ষা মৌসুমে তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২১ শতাংশ এলাকায় বন্যা হয়।

গবেষণা ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক রিলিফের সুপেয় পানি বিষয়ক নীতি উপদেষ্টা জেমি উইলিয়ামস বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।

জনসংখ্যার ঘনত্ব এবং হিমালয় পর্বত ও পাদদেশের প্রধান নদীগুলোর দ্বারা অধ্যুষিত সীমিত নিম্নভূমির কারণে এ অঞ্চলের মানুষ দূষণের কারণে পানির সংকটে ভুগছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top