২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে আজান দিচ্ছেন হাকিম মৃধা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সবার কাছে বড়মিয়া মুয়াজ্জিন নামে পরিচিত শতবর্ষী হাকিম মৃধা। থাকেন ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার সারদল গ্রামে। এই বয়সেও একা একা হেঁটে মসজিদে আসেন, আজান দেন এরপর জামাতে নামাজ আদায় করেন।

হাকিম মৃধার দাবি, তার বয়স ১০৫ বছর। কিন্তু হাকিম মৃধা এখনও দৈনিক পাঁচবার মসজিদে আজান দেন। আর বিনা বেতনে এই কাজটি তিনি করছেন গত ২৫ বছর ধরে।

স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌর এলাকার সারদল গ্রামের বাসিন্দা হাকিম মৃধার এই বয়সেও মসজিদে যেতে কারও সহায়তার প্রয়োজন হয় না। নিজেই হেঁটে হেঁটে যান, আজান দেন, এরপর জামাতে নামাজ আদায় করেন। এলাকার লোকজন তাকে ডাকেন বড়মিয়া মুয়াজ্জিন বলে।

এলাকাবাসী জানান, হাকিম মৃধা দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে সারদল তালুকদার বাড়ির সামনে আল আকসা জামে মসজিদে বিনা বেতনে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়লেও একাই হাঁটাচলা করেন তিনি। এখনও রোজা রাখেন। চশমা ছাড়াই তার দৃষ্টি এখনও স্পষ্ট। তিনি বর্তমানে ওই এলাকার সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি বলেও এলাকাবাসী জানায়।

হাকিম মৃধার গ্রামে গিয়ে জানা গেছে, ছেলের ঘরের নাতি বাপ্পিকে হাকিম মিয়া বানিয়েছেন কুরআনের হাফেজ। মুয়াজ্জিন হাকিম মৃধার ইচ্ছা তার মৃত্যুর পর নাতি যেন ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যায়।

মুয়াজ্জিন হাকিম মৃধা বলেন, আগে কৃষি কাজ করতাম। তা দিয়ে কোনো রকমে চলতাম। এখন বয়সের ভারে তা পারছি না। এখন আল্লাহর ঘরে বেশির ভাগ সময় কাটে। অভাব অনটন থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ সুখে আছি।

মসজিদের ইমাম মাহাদী হাসান বলেন, এ মসজিদের শুরু থেকেই আজান দেন হাকিম কাকা। সব সময় জামাতে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করেন। বেশিরভাগ সময় মসজিদেই সময় কাটান। তিনি আমাদের এলাকার দৃষ্টান্ত।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top