জুনিয়র সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী শিখা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৪, ১৯:০৭
জুনিয়র সাকিবের জীবনে ঘটে গেল মর্মান্তিক এক ঘটনা। ঘুমন্ত অবস্থায় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন স্ত্রী শিখা। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় কলাগাছিয়া কান্দিরপাড় এলাকায়। এ সময় শিখাকে আটক করে বন্দর থানায় নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মদনগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই রাজু আহম্মেদ।
আহত শাকিল বেপারী ওরফে সাকিবের তথ্যমতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্য রাতের কোনো এক সময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনো এক সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা।
সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত। চিত্রনায়ক শাকিব খানের বেশ বড় ভক্ত জুনিয়র সাকিব। শাকিব খানের মতো কথা বলে বেশ ভাইরালও হয়েছেন তিনি। এরপর টিকটকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন মাদারীপুর জেলার সদর থানার নয়াকান্দী কাঠের পুল এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে সাকিব খান। তাকে সামাজিক মাধ্যমে জুনিয়র সাকিব খান নামেই ডাকেন ভক্তরা।
আটককৃত নারী টিকটকার শিখা খান মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার সন্তষপাড়া এলাকার জুম্মান খানের মেয়ে। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে হয়েছে। তারা বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দীপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন।
জানা গেছে, গত ২ বছর পূর্বে টিকটকার শাকিল বেপারী ওরফে জুনিয়র সাকিবের সাথে শিখা খানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয়। টিকটকার শিখা খানের পূর্বে আরও ২টি বিয়ে হয়।
এরপরও টিকটকার শাকিল খান ওরফে জুনিয়র সাকিব বিভিন্ন মেয়েদের সাথে পরকিয়া করে আসছে এমন অভিযোগে তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায় সময়ই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোর ৪টায় টিকটকার নারী শিখা খান ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্বামী টিকটকার শাকিল বেপারী ওরফে জুনিয়র সাকিবের গোপনাঙ্গ কর্তন করে।
এ ব্যাপারে মদনগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই রাজু আহম্মেদ বলেন, জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আলোচিত টিকটকার সাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। এখানে তার সার্জারি চলছে। অভিযুক্ত শিখা খানকে আটক করে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।