শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৫১

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার মানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ব্যর্থ হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে, ভালো কথা, তার মানে প্রশাসন ফেল করছে। সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা দেয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের হলরুমে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেসব এলাকাতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া দরকার। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অর্ন্তর্বতী সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী অর্ন্তর্বতী সরকার সব জঞ্জাল দূর করে দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে সুষ্ঠু উপায়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে।

এই অর্ন্তর্বতী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই। আমি জানি আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমি এই কথাগুলো উচ্চারণ করছি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে সবার সমর্থনে একটা অর্ন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের অপরাধগুলোর বিচার করতে। এই অপরাধের মূল হোতা শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েক দিনে তো গেছেই, তারও আগে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই অত্যাচার। বিএনপির সাত শর বেশি মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, যারা কোনো দিন আদালতের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত দেখেননি; তাদের নিয়মিত আদালতে যেতে হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে আদালতে যেতে যেতে তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।’



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top