বারহাট্টা উপজেলার ৪ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

পিয়াস আহমদ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১৭:৪৪

বারহাট্টা উপজেলার ৪ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার চার ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে নেত্রকোণার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কামাল হোসাইন এ আদেশ প্রদান করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন এ আদেশ প্রদান করেন। ওই ৪ চেয়ারম্যান হলেন-শামছুল হক (১নং বাউশি ইউনিয়ন), মিজানুর রহমান চঞ্চল (২নং সাহতা ইউনি)

আসামিরা হলেন- নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল হক, আসমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম চন্দু, সাহতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান চঞ্চল, চিরাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বারহাট্টার গোপালপুর এলাকায় বারহাট্টা থেকে বাউসী সড়কের পাশে পতিত জায়গায় বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ছিল। ওইদিন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ এনে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বারহাট্টা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ছাদেক মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুর রহমান লিটন, বারহাট্টা উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল কবীর খোকন, উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাসেমসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়।


আসামি পক্ষের আইনজীবী মোখাম্মেল হক রুবেল জানান, আসামিরা বিজ্ঞ উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ছয় সপ্তাহের (এন্টিসেপ্টি) জামিনে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে আমলী আদালত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিরা হাজির হয়ে জামিনের জন্যে প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক কামাল হোসাইন জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top