পাইকগাছায় সাদা ফুলে ভরে গেছে সজনে গাছ
পাইকগাছা (খুলনা) | প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৭
![ফাইল ফটো](https://www.newsflash71.com/pmanager/psx_20250207_212310-20250208114646.jpg)
পাইকগাছায় সাদা সাদা গুচ্ছ ফুলে ভরে গেছে সজনে গাছ। ডালের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত ফুল আর ফুল। এ সময় সজিনা গাছের পাতা ঝরে পড়তে শুরু করে। তাই পাতা শুন্য ডালে থোকা থোকা সাদা ফুলের শোভা দেখে সকলে মোহিত হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ২৫ হাজার ৫শত সজিনা গাছ আছে। প্রতি বাড়ীতে কমপক্ষে ৩/৪ টি গাছ রয়েছে। এসব গাছ বাড়ীর পাশে ও ক্ষেতের আইলে লাগানো। যত্ন ছাড়াই এসব গাছ বেড়ে উঠেছে। গাছে ফলনও বেশী হয়। প্রতি বছর সজিনার শাখা বা ডাল রোপন করা হয়েছে। তবে রোপনকৃত ডালের প্রায় ৩০ শতাংশ মারা যায়।
দেশে ২টি জাত আছে, একটি হালো সজনে ও আর একটি নজিনা। সজিনার ফুল আসে জানুয়ারীতে আর নজিনা ফুল আসে মার্চ মাস থেকে। তবে সব ফুল থেকে ফল হয় না। একটি থোকায় সর্বাধিক ১৫০টি মত ফুল ধরে। ফুল ৪০ সেঃ মিঃ থেকে ৮০ সেঃ মিঃ পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল ফুটার ২ মাস পর ফল তোলা যায়।
একটি বড় গাছে ৪শত থেকে ৫ শত ফল ধরে। প্রতিটি ফলে ৩০-৪০ টি বীজ হয়। দেশে সাধারণ ডাল কেটে ডাল রোপন করে সজিনা গাছ লাগানো হয়। ভারত থেকে হাইব্রিড সজিনার জাত এদেশে এসেছে। এ জাতের বীজ বপন করে লাগাতে হয়। হাইব্রিড জাতের সজিনা গাছে দু’বার ফুল আসে। ফেব্রুয়ারী-মার্চ ও জুন-জুলাই মাস।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় ২১ হাজার সজনের ডাল রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ডাল থেকে গাছ হয়েছে। সজিনার মৌসুম শেষে এ বছরও ডাল রোপন করা হবে।এ উপজেলার লবণাক্ত মাটিতে সজিনা আবাদ ভাল হচ্ছে।
উপজেলার প্রতি বাড়ীতে কমবেশি ৩/৪টি করে সজিনা গাছ আছে।বসতবাড়ীর আশে পাশে রাস্তার ধারে ক্ষেতের আইলে লাগানো সজিনা গাছ যত্ন ছাড়াই অবহেলার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠে।সজিনা চাষিরা উচ্চ মূল্য পাওয়ায় সজিনার ডাল রোপন করতে উৎসাহিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কর্মকর্তা কৃষিবিদ একরামুল হোসেন জানান, ঠান্ডা-গরম, লবণ, খরা সহিষ্ণু এ গাছ বাংলাদেশের সর্বত্রই জন্ম নেয়। এ বছর সজিনা গাছে ব্যাপক ফুল ধরেছে। বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে সজিনার বাম্পার ফলন আশা করা যায়।
সজিনা পুষ্টি ও ভেজষ গুনে ভরা সবজি হিসাবে খুব দামী। সজিনার ব্যাপক চাহিদা ও উচ্চ মুল্যে বিক্রি হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা এখন পতিত জমিতে পরিকল্পিতভাবে সজিনা গাছ লাগিয়ে লাভবান হচ্ছে। সজিনা পুষ্টিকর সবজি হিসাবে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পরিকল্পিতভাবে সজিনা ক্ষেত গড়ে তোলার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।