বরগুনায় ডেঙ্গুর ছোবল, চিকিৎসা নয়—অপেক্ষা মারছে মানুষকে

বরগুনা—এখন ডেঙ্গুর হটস্পট। সারা দেশের আক্রান্তের ৩২ শতাংশ এই একটি জেলায়! হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন দুই শতাধিক রোগী। কিন্তু এমন জরুরি মুহূর্তেও চিকিৎসক-নার্স নেই পর্যাপ্ত!

এই জুন মাসেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছিল ১০ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স। কিন্তু আশ্চর্যের কথা—এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫ জন চিকিৎসক আর ৪ জন নার্স যোগ দিয়েছেন! বাকি ১১ জন কোথায়? কেন আসছেন না? হাসপাতালের ওয়ার্ডে এখন গাদাগাদি অবস্থা। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি ৮০ জন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২০৬ জন। আর পুরো জেলায় আক্রান্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন!

চিকিৎসকরা বলছেন, বৃষ্টির এই মৌসুমে ডেঙ্গু দ্রুতই কমবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। রোগী যতই আসুক, চিকিৎসা দিতেই হবে। আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ।

তত্ত্বাবধায়ক ডা. রেজওয়ানুর আলম জানালেন, বাকি চিকিৎসক-নার্সদের অনেকেই দূর এলাকায় আছেন, যোগাযোগ করেও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না—তারা আদৌ আসবেন কি না!

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে—তারা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দেরিতে যদি প্রাণ যায়, দায় নেবে কে? বরগুনা এখন শুধু সংখ্যার গল্প নয়। এটা জীবন-মৃত্যুর লড়াই। চিকিৎসা যদি সময়মতো না মেলে, ডেঙ্গু নয়, আমলাতন্ত্রই হয়ে উঠবে মৃত্যুর কারণ। জনগণের জীবন ঝুঁকিতে, চিকিৎসকরা নিঃশব্দ। এই নিরবতা কি মেনে নেওয়া যায়?