কুষ্টিয়ায় কমছে না তামাক চাষ

কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৭

ঝুঁকি জেনেও কুষ্টিয়ায় কমছেই না তামাক চাষ

কুষ্টিয়ায় কোনোভাবেই কমছে না তামাক চাষ। বিভিন্ন তামাক কোম্পানির প্রলোভনে জীবনের ঝুঁকি জেনেও, তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা। জেলার মিরপুর, ভেড়ামারা, দৌলতপুর উপজেলার ফসলি জমিতে শুধু তামাকের ক্ষেত।

অতিরিক্ত সার ব্যবহারের ফলে ফসলি জমি দিন দিন নষ্ট হচ্ছে। জেলার তামাক কোম্পানিগুলোর লোভনীয় প্রস্তাবে তামাক চাষ করে সর্বশান্ত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। কৃষি বিভাগ বলছে, তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে অন্য ফসল চাষে। ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে কুষ্টিয়ায় তামাকের আবাদ।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ গৌতম কুমার রায় বলেন, 'তামাকের চাষ করতে যেয়ে মাটি নষ্ট হচ্ছে, ফসল হচ্ছে না। বাচ্চাদের লেখাপড়া হচ্ছে না। মেয়ে ও শিশুরা রোগাক্রান্ত হয়েছে। বন উজাড় হচ্ছে বায়ু দূষণ হচ্ছে।'

মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গ্রামে তামাক চাষের জন্য কৃষকের পাশাপাশি ঘরের বৌ-ঝিদের (নারী) এ কাজে সহায়তা করা লাগে। তামাক ভাঙার পর জ্বালানো এবং প্রসেসিং করতেও নারীদের দিয়ে এসব কাজ করা লাগে। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলারাও এসব কাজের ফলে তাদের ভুমিষ্ট সন্তানরা বিকলাঙ্গ হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘জেলার সবচেয়ে বেশি তামাকের চাষ হয় মিরপুর ও দৌলতপুর উপজেলায়। আর এই দুই উপজেলাতেই সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধীর জন্ম হয়।

এদিকে তামাকের পরিবর্তে বিকল্প রবি শস্য চাষে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এ মৌসুমে কুষ্টিয়া জেরার ৬টি উপজেলায় মোট ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ২৫ হেক্টর, খোকসা উপজেলায় ২ হেক্টর, কুমরাখালী উপজেলায় এক হেক্টর, মিরপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৬৩২ হেক্টর, ভেড়ামারা উপজেলায় ৮১০ হেক্টর ও দৌলতপুর উপজেলায় ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ হয়েছে।’


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top