রাজশাহী নগরীতে ঝড়ে উপড়ে গেছে ৮৫টি ‘প্রজাপতি পোল’
রাজশাহী থেকে | প্রকাশিত: ৬ এপ্রিল ২০২১, ০১:০২
রাজশাহী নগরের একটি সড়কে চীন থেকে আমদানি করা বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক পোল বসানো হয়েছিল । প্রতিটি পোলে দুটি করে এলইডি বাল্ব প্রজাপতির মতো ডানা মেলে রয়েছে। নগরকে দৃষ্টিনন্দন ও সুসজ্জিত করতে এ ধরনের ১৭৪টি পোল বসানো হয়েছিল।
উদ্বোধনের ৪৯ দিনের মাথায় গতকাল রোববার বিকেলে ঝড়ে ৮৫টি পোল পড়ে গেছে। আরও কিছু পোল কাত হয়ে গেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান নগরের বিলসিমলা-কাশিয়াডাঙ্গা সড়কে এই বাতিগুলো উদ্বোধন করেন।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, মহানগরের পশ্চিমের প্রবেশদ্বার কাশিয়াডাঙ্গা মোড় হতে বিলসিমলা রেলক্রসিং পর্যন্ত ৪ দশমিক ২ কিলোমিটার সড়কটিতে ১৭৪টি দৃষ্টিনন্দন এই বৈদ্যুতিক পোল বসানো হয়। প্রতিটি পোলে রয়েছে দুটি করে এলইডি বাল্ব। ১৭৪টি পোলে ৩৪৮টি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন এলইডি বাল্ব লাগানো রয়েছে, যা প্রজাপতির মতো ডানা মেলে রয়েছে।
বিদ্যুৎ–সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হয়। উদ্বোধনের সময় বলা হয়েছিল, আধুনিক দৃষ্টিনন্দন এ সড়ক বাতিগুলো স্থাপনের ফলে নাগরিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। রাত্রিকালীন গাড়ি চলাচলে গতির সঞ্চার হবে।
আধুনিক বসবাসযোগ্য সুন্দর পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরকে আরও আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে এটি নতুন মাত্রা যোগ করল। আলোকায়ন কাজটি সম্পন্ন করতে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।
এই বাতিগুলো লাগানোর পর রাতের বেলায় নগরবাসী এই সড়কে ভ্রমণ করতে ভিড় শুরু করেছিলেন। বাতি পেছনে নিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিতেন। সড়ক বিভাজকে পোলগুলো বসানো হয়েছে। ঝড়ের পর ৮৫টি পোলই পূর্ব দিকে কাত হয়ে পড়েছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রেয়াজাত হোসেন বলেন, ওই এলাকা দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে গেছে। এ জন্য পোলগুলো পড়ে গেছে। এগুলো ঠিকাদারকে ঠিক করে দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা রাতের মধ্যেই নিজ দায়িত্বে ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করে ফেলবে। তিনি বলেন, এই পোল পড়ে যাওয়ায় জানমালের ক্ষতি হয়নি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশ’ পোলগুলো বসানোর কাজ করেছে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হুদা বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে তো পারা যাবে না। পোলগুলো চীনের সাংহাই থেকে এনে প্রাক্কলন অনুযায়ী বসানো হয়েছে। ৯ মিটার লম্বা এই পোলগুলোর এক থেকে দেড় মিটার মাটির গভীরে দেওয়া ছিল।
আশরাফুল হুদা বলেন, সড়ক বিভাজকের মাটি মূল মাটি নয়। ভরাট বালু। এ জন্য ঝড়ে সহজেই পড়ে গেছে। তিনি বলেন, তাঁরা রাতের মধ্যেই নিজ দায়িত্বে এগুলো ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করবেন।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।