শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০১:৩০

গোপালগঞ্জে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। এর থেকে বাদ যায়নি গোপালগঞ্জও। প্রতিদিনই নতুন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালে গোপালগঞ্জে সামাজিক দূরত্বসহ সরকারী নির্দেশনা মানছেন না কেউ। হাট, বাজার, অলিগলিতে এখন মানুষের ভিড়। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) জেলা শহরের লঞ্চঘাট, বাজার রোড, নতুন বাজার, চৌরঙ্গসহ কয়েকটি স্থানে ঘুরে দেখা যায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রথম দফা শেষে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। আর লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে কেনাকাটা করতে জেলায় হাট-বাজার, আলি-গলি, চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। এসময় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূরের মাস্ক পর্যন্ত পরিধান করছেন না।

এক সপ্তাহের লকডাউন মেষ হবার পর জেলা শহরের বিপণী বিতানগুলো খোলার পর মানা হচ্ছে না সরকারী নির্দেশনা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি দোকানগুলোতে। এক একজন অন্যজনের শরীর ঘেঁষে বা ঘাড়ের উপর দিয়ে কেনাকাটা করছেন। এতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।

এদিকে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক লাখ মাস্ক বিতরণ কর্মসূচী শুরু করা হয়েছে। সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় মাস্ক বিহীন মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এসময় জেলার ৫ উপজেলার ৬৭ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভা এলাকায় একযোগে এই মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ক্রেতা মহির শিকদার, মহরম শিকদার, কৃষ্ণ সাহা বলেন, প্রথম দফার পর দ্বিতীয় দফায় আবারো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য আমার এখন বাজার ও দোকানে ভিড় করেছি কেনা কাটা করতে। তবে অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। এমনকি দোকানগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব-রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

দোকানদার, সঞ্জয় সাহা, সদা সাহা, লিটন সাহা, লিখিল সাহাসহ অনেক ব্যবসায়ী বলেন, দ্বিতয়ি দফায় লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে ক্রেতারা কেনাকাটার জন্য হুমরী খেয়ে দোকানে আসছে। তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হলেও মানছেন না। আমরা ব্যবসায়ীরা সামাজিক দূরত্ব বাজায় রাখার চেষ্টা করলেও ক্রেতাদের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না।

গোপালগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, শহরের থেকে গ্রামের চিত্র ভিন্ন। গ্রাম থেকে শহরের মানুষজন আসছেন। তারা যদি সচেতন হয় তাহলে করোনা ভাইরাস কম ছড়াবে। মাস্ক পড়াসহ সামাজিক দূরত্ব যে বজায় রাখে সাধারণ মানুষের প্রতি আমি আহবান জানাচ্ছি।

গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেন, গোপালগঞ্জ সরকার প্রধান, বঙ্গবন্ধু কন্য শেখ হাসিনার জন্মস্থান। জেলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নিদর্শনা বাস্তবায়ন করছে। এজন্য নেতা কর্মীদের সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top