শারীরিক সম্পর্কে জোর করায়

নিজ স্বামীর প্রাণ নিলেন নববধূ

রাজশাহী থেকে | প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২১, ০০:০৩

রাজশাহীতে শারীরিক সম্পর্কে জোর করায় নিজ স্বামীর প্রাণ নিলেন নববধূ

অনেক স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ১৮ দিন আগে নতুন সংসার বাঁধেন হারুন অর রশিদ। তবে বিয়ে করলেও পাননি স্ত্রীর সঙ্গ। এ নিয়ে মনোমালিন্য চলছিল। পহেলা বৈশাখের আগের রাতে স্ত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহের কথা জানান হারুন। এতে আপত্তি জানান স্ত্রী।

একপর্যায়ে জোর করায় হাত-পা বেঁধে স্বামীকে হত্যা করেন নববধূ। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামে। নিহত হারুন একই গ্রামের সরকার পাড়ার বয়জুল মণ্ডলের ছেলে। এ ঘটনার পর নববধূকে পুলিশে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কারিমা। শ্বশুর বয়জুল মণ্ডলের করা মামলায় তাকে আদালতে নেয়া হয়।

ওসি জানান, ১৮ দিন আগে পারিবারিকভাবে হারুনের সঙ্গে কারিমার বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামীকে পছন্দ হয়নি নববধূর। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। মঙ্গলবার রাতে কারিমাকে শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহের কথা জানান হারুন। কিন্তু কারিমা আপত্তি জানান। এতে হারুন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে স্বামীর হাত-পা বাঁধার শর্ত জুড়ে দেন কারিমা।

ওসি তৌহিদুল আরো বলেন, শর্তে রাজি হওয়ায় গামছা দিয়ে স্বামীর হাত ও পা বেঁধে ফেলেন কারিমা। একপর্যায়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হারুনকে হত্যা করেন তিনি। বুধবার সকালে হারুনের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি ওসি তৌহিদুল ইসলাম।

উপজেলার জাহানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান জানান, মঙ্গলবার ভোরে সেহরি খাওয়ার জন্য হারুনকে ডাকতে বলেন তার মা। ওই সময় স্ত্রী কারিমা জানান- হারুন পরে সেহরি খাবেন। এরপর হারুনের মা অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও ছেলের সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে লাশ দেখতে পান। এ সুযোগে ব্যাগ গুছিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন কারিমা। পরে শাশুড়ির চিৎকারে প্রতিবেশীরা নববধূকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: রাজশাহী


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top