বৃহঃস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাইবান্ধায় অধিকাংশ ফার্মেসিতে নেই ফার্মাসিস্ট ও লাইসেন্স

গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ০৯:১১

গাইবান্ধায় অধিকাংশ ফার্মেসিতে নেই ফার্মাসিস্ট ও লাইসেন্স

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা শহরসহ গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় ওষুধের দোকান দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না ওষুধ ব্যবসায়ীরা। এসব দোকানে কোনো প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট না থাকায় তারা লাইসেন্সের শর্তও পূরণ করতে পারছেন না। এতে সঠিক ওষুধ নির্বাচনে ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।

জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জানায়, বর্তমানে জেলায় ৫ হাজারের বেশি ওষুধের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৬০টি ফার্মেসির লাইসেন্স আছে। বাকি ৭৫ শতাংশ দোকানের লাইসেন্স যেমন নেই, তেমনি নেই প্রশিক্ষিত ফার্মসিস্ট।

জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ১ হাজার ২৬০টি ফার্মেসি লাইসেন্স করেছিল। তাদের মধ্যে আবার ৩০০টি লাইসেন্স নবায়নও করেনি।

গাইবান্ধা জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা জেলা শহরসহ সাত উপজেলায় ৫ হাজারের বেশি ওষুধের দোকান আছে। এরমধ্যে মাত্র ৪৫০টি ফার্মেসি আমাদের সমিতির সদস্য।

তিনি আরো জানান, ফার্মেসির জন্য সনদপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্টের প্রয়োজন। গাইবান্ধায় মোট সনদধারী ফার্মাসিস্ট আছেন ১ হাজার ২০০ জন। অথচ ফার্মেসি চলছে ৫ হাজারের বেশি। গাইবান্ধা শহরেই লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান কমপক্ষে ৬০টি। এসব লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোকে লাইসেন্স করার অনুরোধ জানালেও তারা গুরুত্ব দেন না।

গাইবান্ধা সচেতন নাগরিক কমিটির সহ-সভাপতি অশোক সাহা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ফার্মেসিতেই প্রশিক্ষিত ফার্মাসিস্ট থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা নেই, আবার লাইসেন্সও নেই। তিনি বলেন, রোগীরা যেন সঠিক এবং ভালো মানের ওষুধ কিনতে পারে সেজন্য প্রশাসনিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক মো. মেহেদী হাসান বলেন, লাইসেন্সবিহীন ব্যবাসায়ীদের লাইসেন্স করার জন্য মতবিনিময়সহ বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত আছে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top