গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে সড়ক-মহাসড়ক, বিদ্যুতের টাওয়ার হুমকির মুখে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২১, ০০:০০
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ৫০টি পয়েন্টে নির্বিচারে চলছে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে দিনে-রাতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন। অবৈধ ভাবে নদী থেকে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে বাড়ী ঘর, রাস্তাঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, ব্রিজ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বীরশহীদের গণকবরসহ ফসলী জমি, ৩৩ হাজার ভোল্ডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার।
দেখা যায়, উপজেলার করতোয়া ও কাটাখালি নদীর রঘুনাথপুর বাধেঁ, শাকপালা বাঁধ এলাকায়, সাপমারা ইউপির কামারপাড়া, চকরহিমাপুর, সাহেবগঞ্জ, তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমস্ পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫০টি পয়েন্টে চলছে ড্রেজার ও স্কাভেটর দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহন।
এসব পয়েন্টে ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টরের সারিবদ্ধ ভাবে আনা নেয়ার লম্বা লাইন দেখে যে কারো মনে হবে যেন অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহাউৎসব চলছে। আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তঘাট নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য পড়েছে। অপরদিকে ধুলার স্তূপের উপর দিয়ে ড্রাম-ট্রাক চলাচল করলেই ধুলা এলাকার বসতবাড়িতে ঢুকে বাসাবাড়িতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগস্ত এলাকাবাসী তাদের চলাচলের রাস্তা, ঘাট, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নষ্ট হওয়ায় প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় লিখিত অভিযোগ পত্র নিয়ে ঘুরছেন প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে। আর বালু দস্যুরা অসাধু কিছু লোকের সাথে আঁতাত করে নির্বিচারে বালু ব্যবসা করে আসছে।
এবিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট নাজির হোসেন জানান, ইতিপূর্বে আমরা বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। এবং কিছু নিয়মিত মামলা দায়ের হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী মাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জোরদার অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: গোবিন্দগঞ্জ অবৈধ বালু উত্তোলন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।