উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে
অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বশেমুরবিপ্রবি’র ১৫৪ জন কর্মচারী
গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১, ০৮:৩৬

গোপালগঞ্জে চাকুরী স্থায়ীকরণ ও মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কর্মরত ১৫৪ জন কর্মচারী।
আজ বুধবার (১৬ জুন) সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের দোতালায় ভিসি ও রেজিস্ট্রারের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ভিতরে অবস্থান নিয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে তারা। এসময় চাকুরী স্থায়ী করার দাবীতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছে।
অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মসূচী সমিতির সভাপতি সাইদুল আলম মুন্সী, সাধারন সম্পাদক মো: বিজন গাজী বক্তব্য রাখেন। এসময় বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক হাজিরারভিত্তিতে ১৫৪ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫’শ টাকা করে মজুরি দিলেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো মাত্র দু’শ টাকা করে মজুরি দিচ্ছে। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মুজুরি বাড়ানোর সাথে সাথে চাকুরী স্থায়ী করার দাবী জানায় তারা।
এ ব্যাপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আমার ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এসেছে, তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন। সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসিরউদ্দিন এ সমস্যা সৃষ্টি করে রেখে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কিছু লোককে কাজ দিয়েছেন। তাদের কোনো নিয়োগ বা অফিস আদেশ নেই। আন্দোলনকারীরা মনে করেছেন জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে। তাই তারা নিয়োগ পাওয়ার জন্য এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। বর্তমানে আমাদের একটি টিম সেখানে অবস্থান করছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের মধ্যে আন্দোলন চলছে। আলোচনা শেষে একটা ভালো ফলাফল আসবে বলে আশা করছি।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: গোপালগঞ্জ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।