ঈশ্বরদীতে দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে
পাবনার ঈশ্বরদী থেকে | প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২১, ২২:০৯
পাবনার ঈশ্বরদীতে পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য এবারও গবাদিপশুর সংকট হবে না। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও অন্যান্য পশুসহ মোট ২৫ হাজার ২৯০ টির মতো পশু রয়েছে, যা কোরবানি উপলক্ষে হাটে উঠবে।
অধিদপ্তর থেকে কোরবানির প্রস্তুতি কার্যক্রম নিয়ে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ঈদুল আযহায় গরু (ষাঁড়, বলদ ও গাভী) ১২ হাজার ৬৪০, ছাগল ১০ হাজার ৭৬৪, ভেড়া ১ হাজার ৪৩৩, মহিষ ২৬৩ ও অন্যান্য ১৯০ টি পশু হাটে উঠতে পারে। গত বছর গরু ১৬ হাজার ৬৫, মহিষ ৩৭১, ছাগল ১৭ হাজার ২৮৭ এবং ভেড়া ১ হাজার ৭৯৬ টি কোরবানির উপযোগী হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছিল।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলায় এবছরে প্রায় ৩৯৩ জন খামারি মূলত কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে গবাদিপশু লালনপালন করেছেন। কিন্তু গত বছর করোনার কারণে চাহিদা কম ছিল। বাজারে দামও শুরুতে কম থাকলেও শেষ দিকে দেখা যায়, হাটে গবাদিপশু কম, ক্রেতা বেশি। এতে দাম অনেক বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মিটবে বলে প্রতিবেশী দেশ থেকে পশু আনা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আশা করি এবার দেশের গরু দিয়ে চাহিদা মিটবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও খামারমালিকেরা বলছেন, গত বছর ঈশ্বরদীর অরনকোলা, আওতাপাড়া ও নতুনহাট কোরবানির হাটে শুরুতে যারা গরু-ছাগল বিক্রি করেছিলেন, তাঁরা লোকসানের মুখে পড়েন।
আবার ঈদের আগের দিন, অর্থাৎ হাটের শেষ দিকে যারা বিক্রি করেন, তাঁরা লাভবান হন। শুরুতে দাম কম থাকায় যারা গরু হাটে তোলেননি, তাঁদের বড় অংশকে এক বছর ধরে গবাদিপশুগুলো লালনপালন করতে হয়েছে। এতে তাঁদের বিনিয়োগ বেড়ে গেছে। তাঁরা এবার বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নিউ এরা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধান ও মাছের পরেই গবাদিপশু লালনপালন সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক বিনিয়োগ।
খামারিরা যাতে ভালো দাম পান, সে জন্য গবাদিপশু পরিবহন এবং বিক্রিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। এদিকে সাধারণ মানুষ অবশ্য দাম নিয়ে চিন্তিত। গত বছর অনেক পরিবারকে কোরবানি দিতে বাড়তি ব্যয় করতে হয় পশুর দামের কারণে।
ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ঈদগাহ রোড এলাকার এলাকার বাসিন্দা আলম হোসেন বলেন, ‘গত বছর শেষ দিন গরু কিনতে গিয়ে পাইনি। পরে দ্বিগুণ দাম দিয়ে ছাগল কিনে ফিরতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫৫০ টাকা। ঈদুল ফিতরে দাম যে বাড়ল, আর কমেনি। ফলে গরুর সরবরাহ যথেষ্ট কি না, তা সঠিকভাবে হিসাব করা দরকার।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: ঈশ্বরদী পবিত্র ঈদুল আযহা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।