বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চাকরিতে যোগ না দেয়ার কারণ জানালেন ডিবি হারুন

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১৯

সংগ্রহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়ার পর থেকে পলাতক আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক এই অতিরিক্ত কমিশনার হঠাৎ মুখ খুলেছেন। ইউটিউবভিত্তিক চ্যানেল নাগরিক টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাত্র আন্দোলন, চাকরির সময়ে বিভিন্ন সময়ের কর্মকাণ্ড, চাকরিতে যোগ না দেওয়া নিয়ে কথা বলেন।

হারুন দাবি করেছেন, তিনি চাকরিতে যোগ দিতে গিয়েও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়ায় শুরুতে কাজে ফেরেননি। পরবর্তীতে মামলা হওয়ায় এখন নিরাপদে অবস্থান করছেন।

সাক্ষাৎকারে হারুন বলেন, আমি ১২ বছর চাকরি করেছি। আমার কোনো অন্যায় থাকলে আপনি আমাকে ছাড়তেন? তখন আপনারা কোথায় ছিলেন? এখন আমি একটু অড পজিশনে পড়ে গিয়েছি, এখন যদি বলে হারুন খুব খারাপ! তাহলে আমি কী খারাপটা করেছি বলেন। কার ক্ষতি করেছি? আমার কাছে যারা-যেসকল আসামিরা ছিল! এমনও বড় বড় বিএনপি নেতারা আমার কাছে গিয়েছিল! তারা আমাকে বলতো আমার ফ্যামিলি প্রবলেম আছে, আমার ফ্যামিলি প্রবলেম সলভ করে দিও। এসব বিষয়ে আমি আরেকদিন কথা বলবো।

বর্তমান অবস্থান ও কাজে যোগ না দেয়ার বিষয়ে হারুন-অর-রশীদ বলেন, ‘আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম।’

অবশ্য সাক্ষাৎকারে তিনি কোথায় আছেন তা পরিষ্কার করেননি। যদিও গুঞ্জন আছে হারুন এরইমধ্যে দেশ ছেড়েছেন। বর্তমান অবস্থান ও কাজে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে হারুন-অর-রশীদ বলেন, আমাকে ঘিরে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছিল। তখনো আমি চুপ ছিলাম। সরকার যখন বলল, সবাইকে কাজে যোগ দিতে। তখন আমি গত ৮ আগস্ট ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে তখনই যোগ দিতে নিষেধ করেন। আমাকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলেন। আমি যোগদান করতে গেছি। কিন্তু আমি যোগ দিতে পারিনি। দুই দিন পর দেখি আমার নামে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, কমিশনার ও আমাকে হুকুমের আসামি করা হয়। তখন আমি অবাক হলাম।

ডিএমপিতে ৬ জন অতিরিক্ত কমিশনারের মধ্যে নিজের অবস্থান সবার নিচে জানিয়ে হারুন বলেন, আমি হলাম ৬ নম্বর কমিশনার। সেখানে আমার নামে যখন মামলা হলো তখন তো একটু। আবার বলা হলো মামলা হলেও সমস্যা নেই। ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকলে গ্রেফতার করা হবে না। আমি মনে করলাম ভালো কথা। ভাবলাম জয়েন করব। পরের দিন দেখলাম একজন উপদেষ্টা বললেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তা জয়েন করেননি আপনারা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। আমি তখন আরও অবাক হলাম। আমি ‍যদি চাকরিতে জয়েন না করি তাহলে প্রসিডিং করবেন। আর যোগ দিলে আমাকে দিয়ে জোর করে চাকরি করাবেন। এটা শোনার পরে আমার মনে হলো রিস্ক। মানে আমার লাইফ ঝুঁকির মধ্যে। এখন মানুষকে ধরে যেভাবে পেটানো, ডিম মারা হচ্ছে। যদি আমাকে! আগে তো বাঁচতে হবে। আমি ইচ্ছাকৃতভাবে একটু চুপ আছি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top