নীলফামারীতে পাটের ন্যায্যমুল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:৩০
নীলফামারী থেকে:
করোনায় প্রণোদনা এবং একই সাথে পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারনে নীলফামারীতে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে; কিন্তু পাটের বাজার ভালো পাবেন কিনা এ নিয়ে হতাশায় রয়েছেন কৃষকরা। একে একে সরকারি পাটকল বন্ধ হওয়া এবং পাট ব্যাসায়ীদের বিপুল অর্থ বিজেএমসি’র কাছে পাওনা থাকায় এ শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর ৬ হাজার ৯৮৫ হেক্টও জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। পাট উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৭৩০ হেক্টও জমিতে। এরইমধ্যে ৩ হাজার ৮৯৯ হেক্টর জমির পাট কাটা হয়েছে।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতা মুধুপুর ইউনিয়নের কৃষক আনছারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘এবছর আমি দু’বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। করোনার কারনে আমরা স্বল্প সুদে ঋন পেয়েছি। সেই সাথে পরিমান মত বৃষ্টি হওয়ায় সেচের জন্য আলাদা কোন খরচ হয়নি। সব মিলে এবারের খরচ ও উৎপাদন নিয়ে আমি খুশি’।
নীলফামারীর সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের কৃষক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বছর সরকারের সহযোগীতায় এবং অনুকূল আবহাওয়ার কারনে পাটের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তারপরও আমরা পাটের বাজার নিয়ে শঙ্কিত। একে একে সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ন্যায্য মুল্য না পাওয়ার শঙ্কা।
নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর উপজেলার পাট ব্যাবসায়ীরা বলেন, বিজেএমসি’র কাছে এখনও তাদের বেশ মোটা অঙ্কের বিল পাওনা আছে। এ অবস্থায় নতুন করে কেউ পাট কিনবে বলে মনে হয়না।
নীলফামারী কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক কৃষিবিদ মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, সরকারের প্রণোদনা ও যথেষ্ট বৃষ্টি হওয়ায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রা কমে যাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, ভুট্টা, আউশ ধানের মত লাভজনক ফসলের দিকে কৃষকরা ঝুকে পড়ায় লক্ষ্য মাত্র অর্জিত হয়নি। পাটের মুল্য নির্ধারণের বিষয়টি আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তবে এ টুকু বলতে পারি অন্য বছরের তুলনায় এবার উৎপাদন খরচ অনেক কমে গেছে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।