মৃত্যুর আগে 'লাইভে' এসে কান্না করেছিলেন আকাঙ্ক্ষা দুবে

হোটেলকক্ষে অভিনেত্রীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ২২:৫১

অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবে

আত্মহত্যা করার কয়েক ঘণ্টা আগে ইনস্টাগ্রামে একটি লাইভ করেছিলেন অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবে। সেই লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়েন নায়িকা। যদিও আকাঙ্ক্ষা সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছিলেন। তবে তার আগেই সেই কান্নার ভিডিও সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং ভাইরাল হয়। এই ভিডিও’র কয়েক ঘণ্টা আগে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন আকাঙ্ক্ষা। ভোজপুরি গান ‘হিলোর মারে’তে নিজের বেলি ড্যান্সিং স্কিল ফুটিয়ে তোলেন সেই ভিডিওতে। নীল জিন্সের সঙ্গে কালো ক্রপ টপ পরে আয়নার সামনে নাচতে দেখা যায় তাকে।

গতকাল রোববার সকালে মাত্র ২৫ বছরেই আত্মহত্যা করেন জনপ্রিয় ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবে। বেনারসের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। ভোজপুরী সিনেমার জগতে আকাঙ্ক্ষা বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি আগামী সিনেমার শুটিংয়ে বেনারস গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুটের পরে সারনাথ হোটেলে ফেরত যান তিনি। তারপরে আর তাকে হোটেল রুমের বাইরে দেখা যায়নি।

এরপর সকালে অভিনেত্রীকে ডাকতে যান তার মেকআপ আর্টিস্ট। সাড়া না পেয়ে ভাঙা হয় দরজা। হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হয় নায়িকার ঝুলন্ত দেহ। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগত। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ভোজপুরি ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে।

আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর মর্মান্তিক খবরটি উঠে আসে তার মিউজিক ভিডিও ‘ইয়ে আরা কভি হারা নাহি’ মুক্তির দিনেই। তাকে আর পাওয়ার স্টার পবন সিংকে একসঙ্গে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল অনুরাগীরা। শনিবার একটি পোস্ট শেয়ার করে ভক্তদের মুক্তির তারিখ ও সময়ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এরই মাঝে ঘটে গেল দুর্ঘটনা।

মামলার তদন্তে নেমেছে আকাঙ্খার প্রেমিক সমর সিং-এর খোঁজ করছে পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে সমরকে নিজের ‘ভাই’ হিসাবেই পরিচয় দিতেন আকাঙ্খা। তবে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই সমরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার খবরে শিলমোহর দেন অভিনেত্রী। সেই নিয়ে কম ট্রোলড হননি আকাঙ্খা। খুব অল্প বয়সেই কেরিয়ারের সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন আকাঙ্খা। তবে ২০১৭ সাল নাগাদ মানসিক অবসাদের শিকার হন তিনি, তবে ধীরে ধীরে সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠে কাজে ফেরেন। কী কারণে এই মৃত্যু? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরে ১৯৯৭ সালের ২১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন আকাঙ্ক্ষা। ছোট থেকেই তাঁর নাচ ও অভিনয়ের শখ ছিল। ছোট ছোট নাচের ও অভিনয়ের ভিডিও তৈরি করে তিনি টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে শুরু করেন তিনি। এরপর পরিবারের সঙ্গে তিনি মুম্বইয়ে চলে আসেন। সেখানে আকাঙ্ক্ষা নিজের অভিনয় সফর এগিয়ে নিয়ে যেতে চান যদিও তাঁর বাবা-মা চেয়েছিলেন মেয়ে 'আইপিএস' অফিসার হোক।

'মেরি জং মেরা ফয়সলা' ছবির হাত ধরে আত্মপ্রকাশ করার পর অজস্র ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। 'কসম পয়দা করনে কি ২', 'বীরোঁ কে বীর', 'ফাইটার কিং' ও 'মুঝসে শাদি করোগি' (ভোজপুরি) ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top