আজকের দিনটি ভালোবাসার!
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০০:৫৮
‘ভালোবাসা’। চার অক্ষরের এই একটি শব্দে যেন মিশে আছে কতো আবেগ, কতো মায়া। কারণ ভালোবাসা আছে বলেই মানুষ বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। আজ সেই বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস ডে)। সব সংকোচ আড়াল করে আপনকে আরও আপন করার দিন আজ।
ভালোবাসা কোনো দিবস বা সময়-ক্ষণ গুণে আসে না। ভালোবাসার সত্তা সর্বজনীন। ভালোবাসা বহুরূপী। তবুও কালের পরিক্রমায় ১৪ ফেব্রুয়ারি যেন ভালোবাসা প্রকাশের একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে রূপ নিয়েছে। এদিন প্রেম-ভালোবাসার নির্মল আনন্দে মেতে উঠবে বিশ্ব। বিশেষত তরুণ-তরুণীরা প্রেমময় আবেগে মেলে ধরবে ভালোবাসার বাহু। ফুলে ফুলে সাজবে ভালোবাসার মন।
গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ভালোবাসা দিবসের ছোঁয়া লেগেছে সম্প্রতি। বিশেষ করে শহুরে জীবনে এই দিবসের প্রভাব দিন দিন বেড়েই চলছে। তবে গ্রামেও এখন ভালোবাসা দিবসের বিশেষ আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। অনলাইন, মোবাইল, ক্ষুদেবার্তায় কিংবা নানা আকর্ষণীয় উপহার সামগ্রী দিয়ে মন জয় করতে প্রেমের চিঠি যাবে প্রিয়তমার কাছে। তবে ভালোবাসা দিবসে শুধু তরুণ-তরুণীই আনন্দে মাতবে এমন নয়। পরিবার-স্বজন আর বিভিন্ন বয়সী মানুষদের মাঝেও এ দিবসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
জানা যায়, দুটি প্রাচীন রোমান প্রথা থেকে এ উৎসবের সূত্রপাত। এক খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ফাদার সেন্ট ভ্যালেনটাইনের নামানুসারে দিনটির নাম ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ করা হয়। ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি খ্রিস্টানবিরোধী রোমান সম্রাট গথিকাস আহত সেনাদের চিকিৎসার অপরাধে সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুর আগে ফাদার ভ্যালেনটাইন তার আদরের একমাত্র মেয়েকে একটি ছোট্ট চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি নাম সই করেছিলেন ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেনটাইন’।
সেন্ট ভ্যালেনটাইনের মেয়ে এবং তার প্রেমিক মিলে পরের বছর থেকে বাবার মৃত্যুর দিনটিকে ‘ভ্যালেনটাইনস ডে’ হিসেবে পালন করা শুরু করেন। যুদ্ধে আহত মানুষকে সেবার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সেন্ট ভ্যালেনটাইনকে ভালোবেসে দিনটি বিশেষভাবে পালন করার রীতি ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। কালক্রমে এটি সমগ্র ইউরোপ এবং ইউরোপ থেকে সারাবিশ্বের মানুষের পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।