মুখ খুললেন মেসি
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১৭
স্পোর্টস ডেস্ক:
অবশেষে অবসান হল ফুটবলের মহা তারকা লিওনেল মেসি ও স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা দ্বন্দ্ব। টানা দশ দিনের নানা গুঞ্জন, জল্পনা আর অস্থিরতার পর আরও এক মৌসুম ‘ভালোবাসার ক্লাবে’ই থেকে যাওয়ার ঘোষণা দেন মেসি। এরপরই অবসান হয় বার্সা-মেসি দ্বন্দ্ব।
তবে ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তামেউয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি। বললেন, সভাপতি হোসেপ মারিয়া বার্তামেউ কথা রাখেননি। ফলে মতের বিরুদ্ধে ন্যু ক্যাম্পে থাকতে হলো তাকে।
মেসি বলেন, তিনি বার্সা ছাড়ার কথা গোটা মৌসুম ধরেই বলে আসছিলেন বার্তামেউকে।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার যে চেষ্টা করছিলেন মেসি, তা নিয়ে ফুটবল ওয়েবসাইট গোল ডট কমের সঙ্গে কথা বলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। সেখানেই জানালেন ক্লাব সভাপতির সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের টানাপড়েনের কথা।
মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণার পেছনে অনেকে দলের ব্যর্থতার কথা বলছেন। কিন্তু ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানালেন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্লাবটি ছাড়ার কথা প্রেসিডেন্ট বার্তামেউকে বলে আসছেন তিনি। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত জোর করতে বাধ্য হয়েছেন।
গোল ডটকমকে মেসি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টকে ক্লাব ছাড়ার কথা বলেছিলাম। তিনি বলে এসেছেন, মৌসুম শেষে আমি থাকব না চলে যাব সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল তিনি কথা রাখলেন না।’
মেসি আরও বলেছেন, তিনি (বার্সা প্রেসিডেন্ট) আমাকে সবসময় বলতেন- আমরা কথা বলব, এখন নয়। কিন্তু কিছুই নয়। আসলে কী বলতে চাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট তা স্পষ্ট করে বলেননি। মেসি আরও জানান, “আমি যখন আমার পরিবারকে বার্সা ছাড়ার কথা জানাই তখন তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে। আমার বাচ্চারা স্কুল বদলাতে চায় না। তাদের স্কুল এবং বন্ধুদের ছাড়তে চায় না তারা। এই ক্লাব আমার জীবন। আমি এখানেই তৈরি হয়েছি। বার্সা আমাকে সব দিয়েছে। আমি কখনও চাইনি বার্সেলোনা আমার জন্য আদালতে উঠে আসুক। এই জন্যই আমি এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
পাশাপাশি মেসি আরও বলেন, “আমি বার্সেলোনাকে ভালোবাসি। আমার পরিবার আমার সন্তানরা এখানেই বেড়ে উঠছে। তবুও সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমার আছে। আমি নতুন লক্ষ্য এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে চাচ্ছিলাম। তবে আমি ফিরে যাব, কারণ বার্সেলোনাই আমার সব।”
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।